ঈদের ছুটিতে ৯দিন বন্ধ থাকবে যশোরের বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারনে টানা ৯ দিন দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল টানা ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে এ পথে। এর ফলে স্থবির হয়ে পড়বে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম।

তবে ৯ দিনের ছুটিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। আগামী ৬ এপ্রিল (রোববার) থেকে যথারীতি কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম চলবে।

এদিকে, ঈদের দিন ছাড়া প্রতিদিন খোলা থাকবে দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশন। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মুকিতুল ইসলাম এক পত্রে এ তথ্য জানান। পত্রে টানা ৯ দিন কাস্টমস ও বন্দর বন্ধ থাকলেও (ঈদের দিন ব্যতিত) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

চট্রগ্রাম কাস্টমস হাউজে এ নির্দেশ পালন করা হলেও বেনাপোলসহ অন্যান্য কাস্টমস হাউজ ও শুল্ক স্টেশনে তা পালন করা হয় না। এখানে বন্দর ব্যবহারকারীরা সবাই ছুটিতে চলে যাওয়ায় সব কিছু বন্ধ থাকে। হাজার হাজার পাসপোর্টযাত্রী ভারতে গেলেও এ বছর কোন চাপ নেই।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল থেকে ঈদের ছুটি হয়ে যাচ্ছে। ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে বন্দরের কর্মতৎপরতা চলবে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিশেষ নজরদারি নেওয়া হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে আমাদের পুলিশ সদস্যরা টহল দিবে গোটা বন্দর এলাকায়।