ঈদের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল বাংলাদেশি হোসনার


আর কয়েক দিন পরেই ২৯ জুলাই। এ দিনটিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা হোসনার। কিন্তু, গত মঙ্গলবারের এক আগুনেই যেন সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেলা! এখনো কি বেঁচে আছেন হোসনা ও তার পরিবার? এসব প্রশ্ন মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে লন্ডনপ্রবাসী আজিজুল হকের। বুধবার সারা দিনই যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে ২৪ তলা ভবনে আগুন নির্বাপক কর্মীদের কাছ থেকে সবসময়ই খবর নিয়েছেন; তার খালাতো বোন ও তার পরিবারের। ওই ভবনটিতেই থাকতো হোসনা ও তার পরিবার। বাংলাদেশি এক দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভেঙে পড়া কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন লন্ডনপ্রবাসী আজিজুল হক।
নর্থ কেনসিংটনে ২৪ তলা ওই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ৬০০ থেকে ৮০০ লোকের আবাস গ্রেনফেল টাওয়ার নামের ওই আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অন্তত ৭৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজিজুল হক জানান, আগুন লাগার পর থেকে তিনি প্রায় সারাক্ষণই সেখানে অবস্থান করছেন। তার বাড়ি ওই ভবনের কাছাকাছি। পুলিশের কাছ থেকে ক্ষণে ক্ষণে তথ্য নিচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আশার বার্তা পাননি। বাড়িটির ১৭ তলার ১৪৪ নম্বর ফ্ল্যাটে খালা রাজিয়া বেগম (৬৫), তার স্বামী কমরু মিয়া (৮২) এবং তিন সন্তান আবদুল হানিফ (২৯), আবদুল হামিদ (২৬) ও হোসনা বেগমকে (২২) নিয়ে বাস করতেন।
আজিজুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ওদের (খালার পরিবার) সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। ওরা কোরআন শরিফ পড়ছিলেন। বাসার বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর আর ফোন করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কেউ ফোন ধরেনি।’ আজিজুল হক জানান, হোসনা লন্ডনে স্কুল পাস করে কাজ শুরু করেছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন