ঈদে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে দর্শনার্থী সংকট!

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড়ে এবার ঈদুল আজহায় দর্শনার্থীদের ভাটা পরিলক্ষিত হয়েছে। মূলত বৃষ্টির কারণে ও দোকানপাটের সংখ্যা সীমিত থাকার কারণে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কমেছে বলে মনে করছেন ও স্থানীয়রা।

ঐতিহাসিকভাবে মহাস্থানগড় একটি প্রত্নতত্ত্ব এলাকা। এখানে রয়েছে জাদুঘর, গোবিন্দ ভিটা, পাথরঘাটা, ভাসুবিহার বৌদ্ধমটসহ নানা দর্শনীয়স্থান। দেশে ও দেশের বাহির থেকে পর্যটকরা সেকারণে অবসরে ঘুঁড়তে আসে পুন্ড্রনগরী হিসেবে খ্যাত এই ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে।

ঈদের ৫য় দিনে (শুক্রবার) ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের জাদুঘর, পশুরামের রাজপ্রাসাদ, জাহাজ ঘাটা, গোবিন্দ ভিটা, হযরত শাহ সুলতান বলখী (র:) এর মাজার শরীফ ও ভাসুবিহারের প্রত্নতত্ত্ব এলাকায় দর্শনার্থী ভাটা পরিলক্ষিত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এবার ঈদের ছুটিতে মহাস্থানগড় এলাকায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে মহাস্থান প্রত্নতত্ত্ব এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে স্বপরিবারে ঘুরতে আসা নাসরিন জাহান বলেন, পরিবার নিয়ে ঘুড়তে ঢাকা থেকে মহাস্থান গড়ে এসেছি। সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দেখে খুব ভালো লাগছে।

আর এক দর্শনার্থী চট্টগ্রামের প্রবীর কুমার রায় বলেন, ঈদ মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এবার ঈদে মহাস্থান গড়ে সন্তানসহ বেড়াতে এসেছি। মুক্ত পরিবেশে ঘুরতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

গাইবান্ধা থেকে ঘুড়তে আসা কামাল পাশা বলেন, গতবার ঈদে মহাস্থানগড় যেমন দেখেছি এবারও তেমন দেখছি। তেমন কোন গুণগত পরিবর্তন চোখে পরছেনা।

মহাস্থানগড়ের ব্যবসায়ী মমিন বলেন, এবার ঈদে পর্যটকের আগমন তুলনামূলক কম হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে।

মহাস্থানগড়ের টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার ৫ দিনে প্রায় ৯’শ টিকিট বিক্রি হয়েছে। যা গত ঈদুল ফিতরের তুলনায় অর্ধেকর চেয়েও কম।

মহাস্থানগড়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কাস্টডিয়ান রাজিয়া সুলতানা বলেন, বৃষ্টি ও ঈদের ছুটি কম থাকায় এবার ঈদে পর্যটক কিছুটা কম হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা ভালো থাকায় পর্যটকরা নির্বিঘ্নে সামাজিক বিনোদন নিতে পেরেছে।