মানুষের স্বস্তি
ঈদ সামনে রেখে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে তৎপরতা

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলাতেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রতিরোধের পাশাপাশি মানুষ যেন নিরাপদে পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরতে পারে, সে লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (২ জুন) সকাল থেকে দিনাজপুর সেনানিবাসের আওতাধীন ২৮ বীর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বীরগঞ্জ পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট – বাসস্ট্যান্ড, বিজয় চত্বর, থানা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেন। চেকপোস্টগুলোর কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন দায়িত্বরত চেকপোস্ট কমান্ডার।
এ সময় মোটরসাইকেল,প্রাইভেটকার , যাত্রীবাহী বাস, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানসহ সকল ধরনের যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র যেমন রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ইনস্যুরেন্স, ট্যাক্স টোকেন এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করা হয়। অনিয়ম পাওয়ায় কিছু যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে এই তল্লাশি অভিযানকে শুধু নিরাপত্তামূলক নয়, বরং জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ হিসেবেও দেখছেন স্থানীয়রা।
দায়িত্বরত চেকপোস্ট কমান্ডার জানান, ১ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ অস্ত্র, মাদক, চোরাচালানসহ সন্দেহজনক যেকোনো কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আমরা চাই,প্রত্যেকে যেন নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারে,এটি শুধু একটি দায়িত্ব নয়, এটি একটি মানবিক দায়বদ্ধতা।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ, জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তা ও সময়মতো দিকনির্দেশনার মাধ্যমে সেনাবাহিনী নাগরিকদের আস্থা অর্জন করছে। এ ছাড়া যেকোনো তথ্য, অভিযোগ কিংবা সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী চালু করেছে একটি হটলাইন- ০১৭৬৯৬৮৬৮৫৬।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বীরগঞ্জ পৌরসভা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বলেন, “চেকপোস্টের উপস্থিতিতে মানুষ এখন বেশি নিরাপদ বোধ করছে। অপরাধীরাও সজাগ, এতে করে এলাকা অনেক শান্ত।
পথচারী সাদেকুল ইসলাম বলেন, তাদের কার্যক্রমের কারণে যানজট নেই, বিশৃঙ্খলা নেই। মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক স্বস্তিতে যাতায়াত করছে। এটি শুধু নিরাপত্তা নয়, এটি ঈদের আগে আমাদের জন্য এক ধরনের মানসিক শান্তি।
প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে জনসমাগম, কেনাকাটার ভিড় ও চলাচল বেড়ে যাওয়ায় অপরাধের আশঙ্কা দেখা দেয়। এবারে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আগে থেকেই নেওয়া কঠোর ও মানবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তৈরি হয়েছে এক স্বস্তির পরিবেশ। যেখানে মানুষ নির্ভয়ে, নির্ভরতায় এগিয়ে চলেছে প্রিয়জনের কাছে ঈদের আনন্দ নিয়ে ঘরে ফিরতে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন