উজানের ঢল ও ভারীবর্ষণে যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। জেলার শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই।
এদিকে, জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, বড়ালসহ অন্যান্য নদী ও খাল-বিলের পানি বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে যমুনার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলের নিম্নভূমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তলিয়ে যাচ্ছে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলও। একই সঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দ্রুত যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপু ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতে পানি উঠছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।
কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চেলের নিম্নভূমি ও বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে বিপদে রয়েছে চরাঞ্চলের মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে ৪/৫ দিন পানি বাড়বে। এর মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা আশঙ্কাজনক অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন