উদ্বোধনের অপেক্ষায় মদন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স
প্রতিনিধি মদন (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার মদনে নির্মিতি হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। মদন বাজারের ট্রলার ঘাটে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ প্রকল্পটি হাতে নেয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। কিশোরগঞ্জ জেলার এম এস সেহেলি এন্টারপ্রাইজ ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০১৪ সালের ২৬ জুন। এ প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু ওই সময়ে ভবনের দেয়াল নির্মাণে সিদ্ধান্তের মতানৈক্যের কারণে নির্ধারিত সময়ে এর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরেই এর উদ্ধোধনের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছেন। নির্মিত তিন তলা ভবনের নিচ তলায় এবং দু’তলায় হবে মার্কেট আর তিন তলায় হবে মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন, লাইব্রেরি ও কমান্ডারের কার্যালয়। মার্কেট বরাদ্দ দেওয়া হবে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। ভবনের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ফলক।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হেলাল উদ্দিন তালুকদার জানান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ সুন্দর একটি ভবন নির্মাণের জন্য। ভবনে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি, ভেতরে রং কাজের ত্রুটি রয়েছে, প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ হয়নি আট মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। উদ্ধোধন হলে অসহায় মুক্তিযোদ্ধারা এ ভবনে ব্যাবসা-প্রতিষ্ঠান খুলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গোলাম মোস্তফা জানান, প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ কাজের সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় আমি বাকি কাজ সম্পন্ন করতে পারছি না। বারবার জেলা এল জি ইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়েও এর সুরাহা করতে না পারায় কাজ বন্ধ রয়েছে।
ইউএনও দেশের বাহিরে ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনো সময় প্রশাসন এর উদ্বোধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভবনটি বুঝিয়ে দিবেন।
নেত্রকোনা জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ,কে,এম ইসমত কিবরিয়া জানান, দেয়াল নির্মাণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মতানৈক্য নিরসন হলেই ভবনটি উদ্বোধন করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন