উধাও হয়ে যাচ্ছে রাজধানীর মিনি ডাস্টবিনগুলো
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ‘পরিচ্ছন্ন বছর’ আর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ‘সবুজ নগরী’ গড়ে তোলার অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছিল মিনি ডাস্টবিন। কিন্তু এসব ডাস্টবিনের প্রায় অর্ধেকই এখন উধাও, চুরি বা নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যেগুলো এখনও টিকে আছে যথাযথ তদারকি না থাকায় এবং নিয়মিত আবর্জনা অপসারণ না করার ফলে সেসব বিনও অব্যবস্থাপনায় ভুগছে।
ডিএসসিসি এলাকায় প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মিনি ডাস্টবিন বসানো হয়েছিল। সংস্থার পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের এক হিসেবে থেকে জানা গেছে, এসব মিনি ডাস্টবিনের মধ্যে ৫১ শতাংশ এখনও টিকে আছে। বাকি ২৭ শতাংশ বিন এখন মেরামতযোগ্য, আর ২২ শতাংশ বিনের কোনও হদিস নেই।
অন্যদিকে উত্তর সিটির (ডিএনসিসির) বসানো মিনি ডাস্টবিনের মধ্যে অনেকগুলো উধাও হয়ে গেছে। আবার ফুটপাতে থাকা এসব মিনি ডাস্টবিন নিয়মিত পরিষ্কার বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না।
ডিএসসিসির আওতাধীন রাজধানীর পল্টন মোড়ে থাকা মিনি ডাস্টবিন নিয়ে কথা বলতে গেলে স্থানীয় দোকানি হাবিবুর রহমান বলেন, প্রথমদিকে এই এলাকার ফুটপাতে অনেক মিনি ডাস্টবিন ছিল। যার অর্ধেকই এখন নেই, চুরি হয়ে গেছে। বাকি যেগুলো টিকে আছে প্রায় সময় সেগুলোতে ময়লা ভর্তি থাকে, ঠিকমত পরিষ্কার করা হয় না।যে কারণে পথচারীরাও এসব আর ব্যবহার করে না।
অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ফুটপাতের দোকানিরাই মূলত এসব মিনি ডাস্টবিন নষ্ট করেছে। ফুটপাতে দোকান বসানোর জন্য অনেক বিন ভেঙে ফেলেছে বা উল্টিয়ে রেখেছে। যে কারণে পথচারীরা এসব ব্যবহার করতে পারছে না। এ ছাড়া এসব মিনি ডাস্টবিন ভাঙারির দোকানে বিক্রির উপযোগী হওয়ায় দুর্বৃত্তরা এগুলো চুরি করে বিক্রি করেছে।
সম্প্রতি এক সভায় ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন এ বিষয়ে বলেন, আমাদের নিজের ঘর যেভাবে সবাই পরিষ্কার রাখি সেভাবে নিজের শহরকেও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে মিনি ডাস্টবিন বসানো হয়েছিল যার মধ্যে অনেকগুলো চুরি হয়েছে, নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে আবার মিনি ডাস্টবিন নিয়ে ফুলের টব বানিয়েছেন। এমন যদি হয় তাহলে কীভাবে শহর পরিষ্কার রাখবো?
এদিকে মিনি ডাস্টবিনের এমন বেহাল অবস্থার বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক কমোডোর এম এ রাজ্জাক বলেন, অনেক মিনি ডাস্টবিন নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া কিছু চুরি হয়েছে। এ জন্য নতুন কোনো পন্থায় ডাস্টবিন বানানো যায় কিনা তা নিয়ে কাজ চলছে।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মিনি ডাস্টবিন রক্ষাণাবেক্ষণে। প্রায় ৪৯ শতাংশ মিনি ডাস্টবিন নষ্ট হয়ে গেছে। যে পরিমাণ নষ্ট হয়েছে, তা পুনরায় বসাতে বিন ক্রয়ের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন