উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে- ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে।
আজ সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সৎ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান তৃতীয়। মানবিকতায়ও তিনি নন্দিত রাষ্ট্রনায়কের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। বিশ্বের যে ক’জন নেতাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্ব দেয় তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা অন্যতম। দেশবাসির নিকট তিনি আশার বাতিঘর হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, একজন সফল নেতৃত্বের সকল বৈশিষ্ট্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মাঝে রয়েছে। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। তাঁকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। ১৯ বার প্রকাশ্যে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তিনি কখনোই ভেঙে পড়েন নি, মনোবল হারান নি। মৃত্যূ ভয়কে পরোয়া না করে আবার ঘুরে দাড়িয়েছেন তিনি। তাঁর চিত্ত সর্বদা ভয়শুন্য।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, শত বাঁধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সহ-সভাপতি এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবলু, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব এম এ বাসার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রোকনউদ্দিন পাঠান ও লায়ন জেবিন সুলতানা কান্তা প্রমূখ।
বঙ্গবন্ধু একাডেমি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। শেষে মন্ত্রী এই একাডেমির পক্ষ থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে সাংগঠনিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চারজন সংগঠকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন