উপজেলাবাসীর আন্দোলনের মুখে সিলেটের বিশ্বনাথের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা সচেতন মহলের আন্দোলনের মুখে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সহকারী সার্জন (নিয়মিত) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
পাশাপাশি তাঁকে সিলেট ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির লেকচারার পদে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্তিকালীন সময়ে তিনি মূল কর্মস্থল থেকেই বেতন-ভাতা প্রাপ্য হবেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবিএম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই আদেশ জারি করা হয়। যা তাদের সরকারি ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।
একই আদেশে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার (হোমিওপ্যাথিক) মো. আনিসুল হোসেনকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পদে পদায়ণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বনাথ পৌরসভার আটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক শাহাদাত হোসেনের পুত্র মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগ এনে দ্রুত তাঁর অপসারণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন উপজেলার সচেতন মহল।
স্থানীয়দের মতে, প্রজ্ঞাপনে আদেশটিকে ‘বদলি’ বলা হলেও এটি কার্যতঃ ‘ডিমোশন’ বা পদাবনতি। কারণ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তাঁকে ইউনিয়ন পর্যায়ের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, যেখানে প্রশাসনিক কোনো ক্ষমতা নেই।
বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বনাথের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি বদলির আদেশ পেয়েছি। তবে, আমাকে কেন বদলি করা হয়েছে, সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভালো জানে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




