উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হতে যাচ্ছে শেরপুরের ইরি-বোরোধান মাড়াই ঝাড়াই


শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হতে যাচ্ছে ইরি-বোরোধান কর্তন ও মাড়াই ঝড়াই। এবছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও প্রকৃতিগত কারনে অধিকাংশ কৃষকের ধানের ফলন কম হয়েছে। প্রথম দিকে ঝড়ের গরম বাতাসে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের গাছ পুড়ে ঝলসে যায় সেই ঝড়ের গরম বাতাসে। ফলে অনেক গরীব কৃষক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ঈদুল ফিতরের কয়েকদিনে আগে কাল বৈশাখী ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে শ্রীবরদীর অধিকাংশ এলাকার ধান গাছ মাটিতে পড়ে যায়।এবং কি ধানও মাটিতে পড়ে যায়।
এবছর শ্রমিকের ঘাটতি না থাকায় এবং শ্রমিকের মজুরী পর্যাপ্ত থাকায় খুব সস্থিতে ধান কাটেন স্থানীয় কৃষকরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকরা জানান, এ বছর ধানের ভালোই ফলন হইছিলো।প্রথম দিকে যখন ক্ষেতে যায়, তখন ক্ষেত দেখে মনটা ভরি গিয়েছিলো।কিন্তু ধান যখন বাড়াইতে থাকে তখন ঝড় ঝন্টা শুরু হয়। গরম বাতাসে ধান ঝলসে যায়।আবার শিল পড়ে পাকা ধান মাটিতে পড়ে যায়। অনেক ধান ক্ষেতেই রাইখি আইতে হয়ছে। সব মিলিয়ে এবছর ধান এবছর কমই পাইছি। যদি দেশে ধানের বাজার ঠিক থাকে তাহলে আমাদের কিছুটা পুষাবে।
এদিকে অনেক কৃষকরা এখনোই ধান বিক্রি করা শুরু করেছে।আবার অনেক কৃষক গোলায় ভরতেছে সোনালী বর্ণের ধান। পিঠা পুলি বানাতেও দেখা যাচ্ছে গ্রামের অনেকের ঘরে। গ্রামে যেন এটা এক ভিন্ন উৎসব।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন