ঋতুস্রাব হয়েছে বলে বাবা ঘর থেকে বের করে দিলো ১৯ বছরের মেয়েকে
অগ্রগতির পথে না হেঁটে সমাজ যে দিন দিন আরও পিছিয়ে পড়ছে, তার প্রমাণ দিল নেপালের দৈলেখ গ্রামে। মহিলাদের ঋতুস্রাবের কথা শুনলে এখনও সমাজের অধিকাংশই কানে হাত চাপা দেয়। ঋতুস্রাব যে আর পাঁচটি বিষয়ের মতোই খুব স্বাভাবিক, তা বোঝানোর জন্য সমাজের প্রগতিশীল অংশ ক্রমশই লড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এত সবকিছুর মধ্যেও রয়ে গিয়েছে দৈলেখ গ্রামের বাসিন্দাদের মতো মানুষ।
পশ্চিম নেপালের এলাকাগুলিতে একটি প্রথা রয়েছে, যেখানে মহিলাদের ঋতুস্রাব হওয়াই বড় পাপ। এই প্রথার নাম ‘ছৌপাড়ি’। এই প্রথা অনুযায়ী, ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলারা অপরিচ্ছন্ন এবং অপবিত্র থাকেন। তাই তখন নিজের ঘর ছেড়ে তাঁকে আশ্রয় নিতে হয় দূরের কোনও কুড়ে ঘরে। এই প্রথারই শিকার হলেন নেপালের দৈলেখ গ্রামের ১৯ বছরের মেয়ে তুলসী শাহি।
ঋতুস্রাব চলছিল বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাকে। ঠাঁই হয়, একটি কুড়েঘরে। এই দিনগুলিতে এখানেই এসে আশ্রয় নেন মহিলারা। কিন্তু তুলসী জানতেন না, এভাবে তাঁকে মাশুল দিতে হবে। ওই ঘরে থাকাকালীনই, এক বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় তুলসীর। শুধু সাপের কামড়ই নয়, ঘটনার পরে ঠিকঠাক চিকিৎসাও হয়নি বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়।
২০০৫ সালে নেপালের এই এলাকাগুলি থেকে ‘ছৌপাড়ি’ আইনত উঠে যাওয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু তার পরেও মানুষ এই ধারণা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তাদের ধারণা, এই প্রথা না মানলে, তাদের জীবনে মৃত্যু, অসুস্থতা, ব্যর্থতা, অভাব ইত্যাদি ছেয়ে যাবে। এই প্রথার কারণে, শুধু বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াই নয়, মহিলাদের ঠিকঠাক করে খেতেও দেওয়া হয় না ঋতুস্রাব চলাকালীন অবস্থায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন