‘একজন প্রাইম মিনিস্টিার এমন হতে পারেন ধারণা ছিল না’

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। সোমবার তাকে সেখানে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ড. জাফর ইকবালকে সিএমএইচে আনার তাৎক্ষণিক নির্দেশ, খোঁজ-খবর নেয়া এবং তাকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।

ড. জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের শাস্তি দাবিতে সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এক মানবন্ধনে তার স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘একজন প্রাইম মিনিস্টিার (প্রধানমন্ত্রী) এমন হতে পারেন আমার ধারণা ছিল না।’

‘উনি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, উনার লিডারশিফ কোয়ালিটি (নেতৃত্ব গুণ) আছে। কথাও আন্তরিকভাবে বলেন তিনি। কিন্তু আজকে যেভাবে উনি ডিটেইলে (বিস্তারিত) কথা বলছিলেন, এতো আন্তরিক মানুষ!’ যোগ করেন তিনি।

অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বলেন, ‘জাফর ইকবাল একটা কথা বলেছিল ডাক্তারকে- আমি ছোটো মানুষ, এতো বড় মানুষ আমাকে দেখতে আসছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমি আজকে সরাসরি ধন্যবাদ জানিয়েছি, যেভাবে উনি ঢাকায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘জাফর ইকবাল প্রথমে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল- আমাকে এখানে (সিএইমএইচ) নিয়ে আসার ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) কে নিলো? কারণ আমরা তো জানি তার সিএমএইচ-এ থাকার কথা না। আমি তখন বলেছিলাম- এই ডিসিশন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন।’

ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী বলেন, ‘আমাকে সিলেট থেকে শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন- প্রধানমন্ত্রী পার্সোনালি (ব্যক্তিগতভাবে) খোঁজ নিচ্ছেন। উনি এতো ব্যস্ত মানুষ! রাত পর্যন্ত উনি ফোন করেছেন, খবর নিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে ড. জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করে ফয়জুল ইসলাম নামের এক যুবক। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে গণপিটুনির পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

অধ্যাপক জাফর ইকবালকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এনে ভর্তি করা হয়।