একটি দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রয়োজন মনে করছে না : হামিদুর রহমান আযাদ

একটি দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রয়োজন মনে করছে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ ঘোষণা যথেষ্ট নয়। এটাকে আইনি ভিত্তি ও কাঠামোতে রূপ দিতে হবে। এটার আইনি ভিত্তি না দিলে উপদেষ্টা ও আপনার (প্রধান উপদেষ্ট) সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। জুলাই সনদ যদি আইনে ভিত্তি না পায়, বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ লাভ করবে।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
এই জামায়াত নেতা বলেন, সরকারকে তার করণীয় ঠিক করতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধন করতে হবে, অপূর্ণতা পূর্ণ করতে হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, একটি দল খুব জোর করে বলে, আমাদের সংবিধানের আর্টিকেল সেভেনে জনগণ রাষ্ট্রের যে মালিকানা দিয়েছে, সেটার কথা বলে তারা পাশ কাটাতে চায়। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিকে প্রয়োজন মনে করছে না। তারা বলে, জনগণের অভিপ্রায় সব আইনের ঊর্ধ্বে। সেটাই যদি হয়, আমি বলবো আপনারা জনগণের অভিপ্রায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই যে সংস্কারগুলো হয়েছে সেগুলো শুধু আপনাদের বাসায় জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট রেখে দিলে জাতির ভবিষ্যৎ কোথায় যাবে?
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের পর যে রূপরেখা তৈরি হয়েছিল, তখন আমাদের সমর্থনে ৯১ তে যারা সরকারে এসেছিলেন, ওনারা সেই রূপরেখা বানচাল করে দিয়েছেন। বাস্তবায়ন করেননি। এখনো একই ষড়যন্ত্র আপনারা করছেন। জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট করবেন, আইনিভিত্তি দেবেন না, এটা হবে না। তাই জনগণকে বোকা বানাবেন না, জনগণ আপনাদের গোপন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না।
তিনি বলেন, সত্তরের নির্বাচনের যদি আইনি ভিত্তি রচনা হতে পারে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন যদি অস্থায়ী সরকার আইনি ভিত্তি পায়, ৭২ সংবিধান যদি সত্তরের নির্বাচনের নির্বাচনী সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে পাস হয়, অনুরূপভাবে জিয়াউর রহমান যে সামরিক শাসক থেকে প্রেসিডেন্ট হলেন, যে গণভোটের মাধ্যমে আপনারা সেই বৈধতা দিয়েছিলেন; সেসব তো আইনি ভিত্তি পেয়েছে। তাহলে আপনারা কি আপনার দলের এই ইতিহাস কে অস্বীকার করবেন?
‘তাই সংস্কারকে বৈধতা দিতে হবে। ঐকমত্যের বিষয়গুলো আইন হিসেবে ঘোষিত ও স্বীকৃতি দিতে হবে। তার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। এছাড়া ফ্যাসিবাদী আইনের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেবে না।’ যোগ করেন এই জামায়াত নেতা।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন