একদলীয় ভোট আর নয় : সিইসি

আওয়ামী লীগের বর্জনের মুখে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আর বিএনপির বর্জনের মুখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত একতরফা নির্বাচন দেখতে চান না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বার্নিকাট। এরপর তাদের বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষই একমত হয়েছি যে ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ৫ জানুয়ারি মতো নির্বাচন আর নয়। আর যেন এ রকম না হয়, সে জন্যই সবার চেষ্টা থাকবে।’

বার্নিকাট সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আওয়ামী লীগ। আর এক তরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসা বিএনপি টিকতে পারেনি দুই সপ্তাহও। আর ওই বছরের ১২ জুনের নির্বাচনে জিতে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

১৮ বছরের মধ্যে উল্টোচিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের দাবিতে। আর একতরফা নির্বাচন করে জিতে এসে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গত প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরেই।

এরই মধ্যে আগামী নির্বাচন কী হবে, সে নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন অবশ্য সব দলকে নির্বাচন আনার চেষ্টা করার কথা জানিয়েছে।

বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকেও এই বিষয়টি তুলে ধরেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচনের দিন হলে হবে না। প্রার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে নিবন্ধন করতে পারেন, প্রচারণা চালাতে পারেন এবং ভোটের দিন সাধারণ মানুষ যেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন যে তাঁর ভোটটি গণনা হবে।’

বার্নিকাট বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক ভালো ও কম ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। আমি সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলতে চাই, তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন যেন সব ধরনের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে হয়, সেটাই তিনি চান।’

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘সবাইকে মাঠে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আলোচনায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। বড় দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে।’