এক আসনেই ২৩ প্রার্থী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে ২৩ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। গত ৯ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার ধানমিন্ডস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এসব প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেন। এত সংখ্যক প্রার্থী নিয়ে বিব্রত জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে এদের মধ্যে কেবল চার-পাঁচজন প্রার্থীকেই আমলে নিচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বাকিদের ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে মনে করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ৯ নভেম্বর থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের জন্য আওয়ামী লীগের ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
এরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শের হোসেন কামাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমবায় ও স্বনির্ভরতাবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, সদস্য জাকির হোসেন, মো. সাঈফুর রহমান, কবির আহমেদ ভূঁইয়া ও মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম টিপু, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদা আক্তার শিউলি, ইতালি ও সুইডেন প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সিরাজরুল হক রানা, আওয়ামী লীগ সমর্থক খন্দকার এনামুল নাছির, আলামিনুল হক ও মাঈন উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম জাকারিয়া, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু এবং আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা মুত্তাকিমা।
তবে এসব প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান সাংসদ বাদল, কৃষক লীগের উপদেষ্টা বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন কামাল ও যুবলীগ নেতা সাঈদ ছাড়া বাকিদের কাউকেই আমলে নিচ্ছে না উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অনুপস্থিত থাকা এসব প্রার্থীদের ডামি প্রার্থী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন তারা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শিব শঙ্কর দাস জাগো নিউজকে বলেন, এত প্রার্থী নিয়ে আমরা কিছুটা বিব্রত। তবে নির্বাচনী মাঠ গরম করার ক্ষমতা দু-চারজন ছাড়া কারও নেই। বাকি প্রার্থীদের আমরা সেভাবে আমলেও নিচ্ছি না।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহআলম বলেন, এত সংখ্যক প্রার্থী হওয়া দলের জন্য আসলেই বিব্রতকর। তবে মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি যোগ্য প্রার্থীকেই দলের মনোনয়ন দেবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন