এক ঘণ্টায় খালেদার বিরুদ্ধে দুই গ্রেফতারি পরোয়ানা
মানহানি ও দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার পৃথক দুটি আদালত এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা দুটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’, বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে ‘অপমানিত’ করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলা এবং এতিমদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার সমনের জবাব দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি সমনের জবাব দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী সকাল ১১টার দিকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
অপরদিকে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় আজ খালেদার আত্মপক্ষের সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজ খালেদা আদালতে হাজির হতে না পারায় তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান খালেদার সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে বেলা ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এই মামলার অপর দুই আসামি মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি ও গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন