এক নজরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2018/02/khaleda-zia-1-20180206174700.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এতিমখানার অর্থ আত্মসাতের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগ- এতিমের অর্থ আত্মসাতের। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথি থেকে জানা যায়, এতিমদের নামে কুয়েত থেকে এই অর্থ আসে ট্রাস্টের নামে। কুয়েতের আমীর যে ব্যাংক একাউন্টে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন।
তার মধ্যে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জমা হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সোনালী ব্যাংক রমনা শাখার একাউন্টে। এই একাউন্টের স্বাক্ষরকারী বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯৫ সালে তার স্বাক্ষরেই ওই অর্থ অন্য একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকেই আত্মসাতের মামলার উৎপত্তি।
মামলার আসামিরা হলেন খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুড়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
খালেদার জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান গত ৯ বছর ধরে লন্ডনে পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আসামি কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদকের মামলার পর ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালে বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির বিচার শুরু হয়।
এরপর খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে ৫ দফা বিচারক বদল হয়। শেষ অব্দি আখতারুজ্জামানের আদালতে যুক্তিতর্কের ওপর শুনানি শেষ হয়। বেগম জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে ২৮দিন আদালতে বক্তব্য দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২জন। তবে আসামীপক্ষ থেকে কোন সাক্ষী হাজির করা হয়নি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এতিমখানা গঠনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন আবশ্যক হলেও জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্টের ক্ষেত্রে তা’ নেই। নিয়ম লঙ্ঘন করে ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের খালেদা জিয়ার বাসার ঠিকানা ব্যবহার করা হয়।
১৯৯৩ সালে এতিমখানার নাম ব্যবহার করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হলেও ২৫ বছর পরও ওই নামে দেশে কোন এতিমখানার দৃশ্যত রূপ দেখা যায়নি।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন