এক স্কুল শিক্ষকের দড়ি দিয়ে বাঁধা ভবিষ্যৎ
তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। অন্যের সন্তানকে প্রতৃক মানুুষ হিসেবে গড়ে তোলাই তার ব্রত। অথচ নিজের সন্তানকে তিনি বেঁধে রেখে যান দড়ি দিয়ে। এ যেন প্রদীপের ঠিক নিজেই অন্ধকার।
সেই শিক্ষকের নাম কৃষ্ণা রানী ভট্টাচার্য্য। তিনি হবিগঞ্জের চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
নিজের সন্তানকে কেন এভাবে বেঁধে রাখেন? তার জবাব- বাধ্য হয়েই এ কাজ করতে হয়। কারণ তার সন্তান বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। দেখার মতো অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এমন করতে হচ্ছে তাকে।
হবিগঞ্জের মাস্টার কোয়ার্টার এলাকায় যাওয়ার পর জানা গেলো, কৃষ্ণা রানি তার ১৪ বছরের শিশুকে দড়ি দিয়ে বেঁধে স্কুলে যান। শিক্ষকের স্বামীও ব্যস্ত থাকেন বাইরের কাজে।
স্থানীয়দের সহায়তায় ওই শিক্ষকের বাড়িটি খুঁজেও পাওয়া গেল। সেখানে দেখা যায় দু’টো দরজাতেই তালা দেয়া। পরে বিকেলে স্কুল শেষে রাস্তাতেই পাওয়া গেল ওই শিক্ষক ও তার স্বামীকে।
দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মা-বাবাকে দেখে কিছুটা আনন্দিত হলো কথা বলতে না পারা আর অটিজমে আক্রান্ত শিশুটি।
শিশুটির মা বললেন, নিরুপায় তিনি। একই কথা শিশুটির বাবারও।
২০০৩ সালে জন্ম নেয়া শিশুটির এক সময় খিঁচুনি ছিল। তবে এখন কিছুটা কমেছে।-চ্যানেল আই
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন