এখনও আছে ভোটার হওয়ার সুযোগ
সদ্য শেষ হওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রকারীদের কাছে তথ্য দিতে না পারা যোগ্য নাগরিকদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলমান নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকেরা চাইলে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। রবিবার (২০ আগস্ট) শুরু হওয়া এই ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। বুধবার নির্বাচন কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহের সময় যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি, তারা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ও সংশ্লিষ্ট দলিলসহ নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন।
নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে যেসব কাগজ লাগবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তার সনদের ফটোকপি; ১৩ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের কপি; ওয়ার্ড কমিশনার/চেয়ারম্যান প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি; ঠিকানা প্রমাণে বাসা/বাড়ির ট্যাক্স রশিদ/চৌকিদারের রশিদ/যেকোনও বিলের কপি/জমির দলিলের ফটোকপি ইত্যাদি।
গত ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার যোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওই সময় তথ্য সংগ্রহকারীদের তথ্য সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও অনেক স্থানে তার ব্যত্যয় ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ফলে অনেকে ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিক তাদের তথ্য দিতে পারেননি। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিতে আসায় নতুন করে এই সুযোগটি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য নিবন্ধন কেন্দ্রের এই সুযোগ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যেকোনও সময়ে ভোটার হওয়া যাবে।
এবার ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হচ্ছে তাদের ভোটার করা হচ্ছে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হালনাগাদ কর্মসূচি অনুযায়ী ২০ আগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮৩টি, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ২১৬টি এবং ১৪ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১১৮টি উপজেলায় নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
এসব এলাকায় নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনও স্থানে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যারা ইতোমধ্যে ভোটার হতে পারননি, তাদের এখনও কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বন্যার কারণে যেসব এলাকায় নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন শুরু করা যায়নি তাদের দ্বিতীয় বা শেষ ধাপে সময়সূচি পরবর্তনের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে চলছে নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম। কখন কোন এলাকায় নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে, তা এলাকায় মাইকিং করে জানানো হচ্ছে। এছাড়া হেল্প লাইন ১০৫ নম্বরে ফোন করেও এ সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন