এখনো পাস হয়নি বাজেট, আগেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার
আগামী অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হওয়ার পর থেকেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। বাজেটে অনেক পণ্যের দাম কমতে পারে আবার বাড়তেও পারে। বাজেট পাস হলেই কেবল তা কার্যকর হওয়ার কথা।
কিন্তু প্রকৃতচিত্র তার বিপরীত। প্রতিটি খাদ্য পণ্যে বেড়েছে প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী দাম। সাধারণ মানুষ এতে ক্ষোভ জানালেও, বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন পণ্য বিক্রেতারা
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোজায় যেভাবে বাজার মনিটরিং ছিল, তা এখন অনেক কম। এ সুযোগে তৎপর অসাধু ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, সরকার এ সময় বাজেট নিয়ে ব্যস্ত। বাজারের দিকে নজর তেমন একটা নেই। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন এসব সিন্ডিকেটধারী ব্যবসায়ীরা।
তবে মনিটরিং চলছে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, রোজার মতই সারাদেশে বাজার মনিটরিং চলছে। যেখানে অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বাজেট পাস হওয়ার আগেই বাড়তি শুল্ক নেয়ার বিধান নেই বলে জানান তারা।
চলতি মাসের ১৩ তারিখ সংসদে আগামী অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। পাস হবে আগামী ৩০ জুন, কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে। সে বাজেটে নিত্যপণ্য দ্রব্যের বিভিন্ন জিনিসের উপর শুল্ক ধরা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজেট ঘোষণার পর থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আদা, রসুন, গুঁড়ো দুধ, আটা, পেয়াজ, মসুর ডাল, ডিম, মসলা ও চিনির দাম। বাদ যায়নি চাল ও সিগারেটের দামও।
এসব পণ্যের মধ্যে দেশীয় পণ্যের কয়েকটির উপর শুল্ক বাড়ালেও বাড়ানো হয়নি আটা, পেয়াজ, রসুন ও চালের উপর। কিন্তু ইতোমধ্যে এসবগুলোতে তা শুল্ক জুড়ে দেয়া হয়েছে। এর কোনটিতে বেড়েছে ৩ টাকা আবার কোনটায় ৫ টাকা।
এ বিষয়ে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজেটে অনেক কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু তা পাস হওয়ার আগেই এভাবে অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুল্কের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকলেও ৩৩ টাকার আটার দাম রাখা হচ্ছে ৩৫ টাকা, মোটা ৩৫ টাকার চাল নেওয়া হচ্ছে ৩৭ টাকা, ৫৫-৫৭ টাকার সরু চাল নেওয়া হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।
জানতে চাইলে এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাজেট এখনো পাস হয়নি। কিন্তু ইতোমধ্যে তা কার্যকর করা দুঃখজনক।
বাজেটে অনেক পরিবর্তন হবে। কোনটির শুল্ক বাড়বে আবার কোনটির কমবে। যারা অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক মো. হারুন-উজ-জামান ভূঁইয়ান বলেন, বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রতিদিন অভিযানও চলছে। তবে কোনো ভোক্তা এখনো এ বিষয়ে অভিযোগ দেননি। বাজেট পাসের পর থেকে আমরা নতুন উদ্যোমে কাজ করব।
তিনি বলেন, রোজায় প্রতিদিন আমাদের ৪টি করে টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে। এখন দুটি করে কাজ করছে। লোকবল বাড়লে অভিযান আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।
সারাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং বিএসটিআই-এর কার্যক্রম চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন