এখন গ্রাম আর শহরের মধ্যে কার্যত কোনো পার্থক্য নেই : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামীণ জনশক্তিই আমাদের শক্তি। গ্রামীণ উন্নয়নের মধ্যেই দেশের উন্নয়ন নিহিত। সেই কারণেই ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্লোগান দিয়েছেন ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’। অর্থাৎ প্রতিটি গ্রামেই শহরের সব সুযোগ সুবিধা তিনি পৌঁছে দিতে চান।
‘ইতোমধ্যেই গ্রামের মধ্যে শহরের সব সুযোগ সুবিধা পৌঁছে গেছে। এখন গ্রাম আর শহরের মধ্যে কার্যত কোনো পার্থক্য নেই। এটি সারা দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সুষম উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তার জন্যই সম্ভব হয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে এক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি ও সাইকেল, ভেড়া ও শেড নির্মাণ সামগ্রী, বিজ্ঞান মেলায় সেরা প্রজেক্ট বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।
উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র পরিচালনার পর থেকে গ্রামীণ অর্থনীতি দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। করোনার মধ্যেও আমাদের দেশের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো হচ্ছে। জিডিপি গ্রোথ (বৃদ্ধি) অব্যাহত আছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এটির প্রধান কারণ হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়ে সেটিকে চাঙা করার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।’
শিক্ষার্থীদের টিকাদান প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেটি সত্যি অভাবনীয়। তার সময়োচিত নানা পদক্ষেপের কারণে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের করোনা প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। সেই কারণেই সরকার সারা দেশে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা এখনো টিকা নেয়নি তাদের টিকা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে এবং লক্ষ্যস্থির করেছে, এই মাসের মধ্যেই ৭৫ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা হবে। তারই অংশ হিসেবে রাঙ্গুনিয়ায় ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকতার হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খাইরুল বশর মুন্সি, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুস্তফা কামাল, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হিন্দোল বারী প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন