এতে আসলে খুব একটা লাভ হচ্ছে না এবং হবেও না!
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2020/10/222536_bangladesh_pratidin_ll.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
খুব হিসেব করে দেখলাম, এই যে Potential Rapist বলে চিল্লাচ্ছি, এতে আসলে খুব একটা লাভ হচ্ছে না এবং হবেও না! কারণ যারা বখে গেছে, এরা এদের আশেপাশের আরও অনেককেও বখে যাওয়ার পথে নিয়ে যাচ্ছে।
খেয়াল করে দেখবেন, আগের মত এখন আর খুব একটা যৌথ পরিবার নেই তাই পারিবারিক বন্ধনও প্রায় ঢিলেঢালা। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন বাবা, চাচাদের ভয়ে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রবণতা এখন প্রায় তলানিতে! অবস্থানগত কারণ অথবা যৌথ পরিবারের একক পরিবারে পরিণত হওয়া পারিবারিক নিয়ম কানুনের বাঁধাকে অনেকটাই আলগা করে দিয়েছে!
সমাজে প্রতিটি পরিবার সমান শিক্ষায় শিক্ষিত নয়! আগে কম বা বেশি শিক্ষিত বিষয়টি বড় রকমের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে আসেনি, কারণ পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী ছিল। সমাজে যারা একটু খারাপ ছিল তাদের প্রতি মানুষের সামাজিকভাবে ঘৃণা প্রকাশ তথা অদৃশ্যমান বয়কট করার প্রবণতা লক্ষণীয় ছিল! এবং এই কারণে কম শিক্ষিত পরিবারও সামাজিক মূল্যবোধের বিষয়ে সচেতন ছিল।
একইসাথে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা কম থাকায় ঘরে ঘরে মোবাইল ফোনও ছিল না! বিজ্ঞানের আবিষ্কার একদিকে শিক্ষিত ও মননশীল মানুষের জন্য যতটা ভাল (কিছু ক্ষেত্র বাদে) অন্যদিকে অশিক্ষিত ও বোধহীন মানুষের জন্য তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর। একক পরিবার হওয়ায়, যার যার সন্তান তার তার, কারো সন্তানের বখে যাওয়া এখন আর অন্য কারো কাছে মাথা ব্যথার কারণ নয়।
শিক্ষিত, বোধসম্পন্ন মানুষ তাঁর আগামী প্রজন্মকে যেভাবে তৈরি করতে পারবে, তার বিপরীত চিত্রের মানুষ তার চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকবে! যেহেতু পরিবারের মত প্রাচীন প্রতিষ্ঠান দিয়ে মানুষ বানানো সুনিশ্চিত নয় সেহেতু নজর দিতে হবে গোঁড়ায়!
প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকেই শুরু করতে হবে নৈতিক শিক্ষাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে শিক্ষাদান! হতে পারে সপ্তাহে এক, দুইদিন এই ক্লাস এবং তার চর্চা চলবে। সহজ ভাষায় আইনগত শিক্ষা, ( কি কি নিয়ম মেনে চলতে হয় এবং হবে), ক্লাসে নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কিত আলোচনা ও প্রায়োগিক পাঠদানের ব্যবস্থা ( জাপান ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে এরকম পাঠদানের ব্যবস্থা আছে), শরীর সম্পর্কীয় শিক্ষা ( ভাল স্পর্শ, মন্দ স্পর্শসহ যতটুকু বাচ্চাদের উপযোগী করে করা যায়)! মাধ্যমিক পর্যায়েও এসবের চর্চা অব্যাহত থাকলে এই শিশুদের মন, মগজ কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হবে। এই চেষ্টাটুকু করা গেলে আগামীতে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে।
যাদের মস্তিষ্ক তথা হৃদয়ে পচন ঘটেছে তাদের নিয়ে কিছু বলার নেই! তাদেরকে আইন দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। তবে এই পচনশীল দ্রব্যের সংস্পর্শে আমাদের আগামী যেন না পঁচে যায়, সেজন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে! নিজের পরিবেশ ঠিক থাকলেও আশেপাশের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে চাইলে উপর্যুক্ত চেষ্টা ও সচেতন মহলের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দিলে, আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশকে ঋদ্ধ করতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : এডিসি মিডিয়া অ্যান্ড পিআর।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন