এত কিছুর পরও এদেরকে আ.লীগের একটা অংশ কী করে সমর্থন করে: সোহেল তাজ

বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি ও অরাজক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন।
‘ক্ষমতার কি লোভ— এক লাখ বেলুন, নাকি বাসে আগুন?’ শিরোনামের ওই পোস্টে সোহেল তাজ লিখেন—‘গণহত্যা, গুম-খুন করে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত করে, দুর্নীতি-লুটপাট করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তারা। সেই টাকার পাহাড়ে বসে এখন আবার অরাজকতা আর তাণ্ডব সৃষ্টি করছে— নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার লক্ষ্যে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার আশ্চর্য লাগে, যখন চিন্তা করি— যে এত কিছুর পরও এদেরকে আওয়ামী লীগের একটা অংশ কীভাবে সমর্থন করে? এর মানে একটাই— এরাই ছিল সুবিধাভোগী। আর এখন এরই পরিণতি হিসেবে খেসারত দিতে হবে নিরীহ, নিরপরাধ নেতাকর্মীদের।’
যদিও পোস্টে তিনি কারও নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবে তার লেখায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব ও বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থাকে লক্ষ্য করেই তিনি মন্তব্য করেছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের সমালোচনায় সক্রিয় রয়েছেন।
রাতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সোহেল তাজ
যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ফেসবুকে এক পোস্টে এই কথা জানান তিনি।
ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘মগের মুল্লুক হতভাগা একটা দেশ- খেলোয়াড় পরিবর্তন হয় কিন্তু খেলা একই থেকে যায়। আজকে রাতে আমি হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে আমেরিকার পথে যাত্রা করবো- দেখা যাক আবার কি হয় – সব কিছু জানাবো।’
এর আগে ‘ভ্রমণরোধ’ থাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোহেল তাজের বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানান। তাই এবার হাইকোর্টের আদেশ নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ।
একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। তবে প্রক্রিয়াগত ভিত্তিতে এটি তখন গ্রহণ না করা হলে, ৭ জুলাই আবারও পদত্যাগপত্র পেশ করলে তা গৃহীত হয়।
পরে তিনি অভিযোগ করেন, তার পথে ‘নানা রকম বাধা সৃষ্টি’ করা হচ্ছে এবং তার ‘নির্দেশনা অমান্য’ করা হচ্ছে। এসব কারণেই তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। এরপর কখনই আর রাজনীতিতে জড়াননি তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















