এবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-কিমের বৈঠক!
গত জুনে ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর আবারো বৈঠকে বসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। সম্প্রতি ট্রাম্পকে লেখা এক চিঠিতে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কিম। সেই উষ্ণ চিঠি পাওয়ার পর ওয়াশিংটনে বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আগামী সপ্তাহে পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত হবে দুই কোরীয় নেতার বৈঠক। মুন জা ইন ও কিম জং উনের ওই বৈঠকে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
বহু প্রতীক্ষার পর গত জুনে এক টেবিলে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। সেই বৈঠকের পর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। বৈঠকের পর পরমাণু পরীক্ষাগার বন্ধ করে দেয় কিম। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিও বন্ধ করে তারা। তবে পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় উত্তর কোরিয়ার ওপর বেশ কয়েকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া গত মাসে উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সফর বাতিল করেন ক্ষুব্ধ ট্রাম্প।
তবে সম্প্রতি দেশটির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সামরিক মহড়ায় কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন না করায় এবং ট্রাম্পকে কিমের উষ্ণতায় ভরা চিঠি প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের কিছুটা নমনীয় ভার পরিলক্ষিত হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনে দুই নেতার বৈঠকে সবুজ সংকেত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ওয়াশিংটনে সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তির যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইন।
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যস্ততাকারী হিসেবে এবং কোরিয় উপদ্বীপে শান্তি বজায় রাখতে কিম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইন।
মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ ভাব এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া দ্বিতীয়বারের মত ট্রাম্প-কিম বৈঠকে বসলে তা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বয়ে আনবে বলেও মনে করছেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন