এবার নিউজিল্যান্ডের সব নারীরা পরবে হিজাব!
গত ১৫ মার্চ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে নিষ্ঠুর সন্ত্রাসী হামলায় ৫ বাংলাদেশিসহ ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন। অস্টেলিয়ার শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট মুসলিম ও অভিবাসী বিদ্বেষ থেকে এ হামলা চালায়। আগামী শুক্রবার এ হামলার সপ্তাহ পূর্ণ হবে। এ উপলক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডব্যাপী পালিত হবে ‘সম্প্রীতির জন্য হিজাব’ কর্মসূচি।
সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে আগামী (২২ মার্চ) শুক্রবার নিউজিল্যান্ডজুড়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নারীরা হিজাব পরবে। সন্ত্রাসকে না এবং মুসলিমেদের প্রতি সংহতি জানাতেই নারীদের এ উদ্যোগ।
‘সম্প্রীতির জন্য হিজাব’ নামে এ সংহতি কর্মসূচির আয়োজকরা বলেন, ‘শেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টনের এ বর্বর হামলায় পুরো নিউজিল্যান্ড শোকাহত, বাকরুদ্ধ।
নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে বর্বর এ হামলায় প্রাণ হারানো সব শহীদের মা, বাবা, সন্তান, সহকর্মী ও বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা জানাতেই নারীরা দিনব্যাপী হিজাব পরার কর্মসূচি পালন করবে।
এ কর্মসূচি থেকে নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত সব মুসলিমকে জানানো হবে যে, নিউজিল্যান্ডে তোমরা (মুসলিমরা) একা নয়, আমারা সব সময় তোমাদের পাশে আছি। তোমাদের পাশে দাঁড়াতে আমরা সদা প্রস্তুত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইতিমধ্যে পূর্ব ঘোষিত নারীদের হিজাব পরার এ কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এর আগে হামলার পর পরই ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান ও মুসলিমদের প্রতি সমবেদনার সর্বোচ্চ প্রকাশ করতে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরর্ডান বেশ কয়েকবার জনসম্মুখে হিজাব পরে এসেছেন। দেখা করেছেন নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে। যা তাকে বিশ্বনেতার কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
নারীদের এ আয়োজনে ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে নিহতদের প্রতি থাকবে শ্রদ্ধা ও স্বজনদের প্রতি থাকবে সমবেদনা। বিশ্বজুড়ে মুসলিম কমিউনিটিতে বইবে শান্তির সুবাতাস। এমনটিই প্রত্যাশা…
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন