এবার ভারতগামী ‘থর এক্সপ্রেস’ বন্ধ করল পাকিস্তান
কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘থর এক্সপ্রেস’ট্রেনটিও বাতিল করেছে পাকিস্তান। খবর ডনের
এর আগে ‘সমঝোতা একপ্রেস’ ট্রেনটি বাতিল করেছিল পাকিস্তান।
শুক্রবার থর এক্সপ্রেস বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ।
পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘যোধপুর থেকে করাচিগামী থর এক্সপ্রেসের চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে পাকিস্তান।’
পাকিস্তানের খোকরাপার থেকে ভারতের মোনাবাও পর্যন্ত যাতায়াত করত থর এক্সপ্রেস। ভারতের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী শেষ ট্রেন ছিল এটি।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি যতক্ষণ রেলমন্ত্রী আছি ততক্ষণ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো ট্রেন চলাচল করবে না। আমরা থর এক্সপ্রেসও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত ৫ আগস্ট মোদি সরকার কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং কাশ্মীরকে দুইভাগ করে কেন্দ্রের শাসনে নিয়ে আসার প্রতিক্রিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।
এর আগে গত ৬ আগস্ট নয়াদিল্লি থেকে লাহোরগামী সমঝোতা এক্সপ্রেস বাতিল করে পাকিস্তান।
সেদিন পাক রেলমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সমঝোতা এক্সপ্রেসের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারত শুধু জাতিসংঘের সিদ্ধান্তই অমান্য করেনি। শিমলা চুক্তিরও লঙ্ঘন করেছে। আমরা ভারতের হঠকারী আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।’
উল্লেখ্য, সমঝোতা এক্সপ্রেস প্রতি সপ্তাহে দুবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলাচল করত।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংযোগকারী ট্রেন ছিল সমঝোতা এক্সপ্রেস।
১৯৭৬ সালে শিমলা চুক্তির পর শান্তি ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে অমৃতসর এবং লাহোরের মধ্যে চালু হয় এই ট্রেন।
এর পর ২০০৬ সালে ‘থর এক্সপ্রেস’ চালু হয়।
এদিকে পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘পাকিস্তান একতরফাভাবে থর এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি তারা।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন