এভোকাডো’র যত গুণ

এভোকাডো একটি ফলের নাম। এটি একটি উচ্চ ফ্যাট এবং প্রচুর ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল। এই গাছ আমেরিকা ও মেক্সিকোতে বেশি জন্মায়। প্রায় ১০ হাজার বছর আগে মেক্সিকোতে এই ফলের উদ্ভাবন হয়। এই ফল পারসে আমেরিকা হিসেবেও পরিচিত। এই ফল থেকে যে তেল উৎপন্ন হয়, তাই এভোকাডো তেল।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ এই ফল বা তেল সম্পর্কে পরিচিত নয়। এটি প্রকৃতির একটি সর্বোচ্চ দান। প্রতিটি তেলের খাদ্যগুণ রয়েছে। তবে এই তেলের খাদ্যগুণ অনন্য।

এভোকাডো তেলে অন্যান্য উপাদান ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পটাশিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন ক১, কপার, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-বি৬, ফ্লেট (বি 9), লুটেন ও ভিটামিন-সি রয়েছে।

এই তেলে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত সহায়ক। এটা চোখের দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘস্থায়ী করে ও হাড়ের ক্ষয় রোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

শরীরের কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে। এই তেলে ম্যাগনেশিয়াম পর্যাপ্ত পাওয়া যায় এবং পরীক্ষান্তে প্রমাণিত এই তেলের ম্যাগনেশিয়াম, টাইপ-২ ডায়াবেটিক কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সহায়ক।

এভোকাডো তেলে প্রায় সব প্রকার ভিটামিন থাকায়, এটা চুলের জন্য অতিশয় কার্যকর। বিশেষ করে ভিটামিন-বি এবং ভিটামিন-এ, যা চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুল গজাতে সহায়তা করে। এই তেল চুল ও ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করা যায়। আমেরিকা ও ইউরোপে এই তেল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও এটার ব্যবহার অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা গেছে, ফ্রান্সে এভোকাডো তেল ‘প্রেসক্রিপশন স্ট্যাটাস’ পেয়েছে। ডেনমার্কে এভোকাডো তেল এবং সয়াবিন এক্সট্রাক্টসংবলিতভাবে ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়।

বিশ্বের বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এভোকাডো তেল একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর তেল এবং যারা এটা নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন, তারা উন্নত খাদ্য উপাদান গ্রহণের ফলে তুলনামূলকভাবে ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হন।

এই তেলের গুণাগুণ অল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভবপর নয়। ইন্টারনেটের সুবাদে এটার গুণাগুণ সম্পর্কে সহজেই জানা যাবে।

লেখক
মো. হারুন-উর-রশিদ
স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক গবেষক