এরশাদ সুস্থ, দাবি চিশতীর
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সুস্থ বলে দাবি করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী। বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন দাবি করেন।
ফয়সল চিশতী বলেন, নাটকের কথা ঠিক নয়, যে কোনো মানুষ অসুস্থ হতে পারেন। আমার মনে হয় জাপা চেয়ারম্যানের অসুস্থতা নিয়ে আমাদের রাজনীতি করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, বিগত ৪টি নির্বাচনেই আমি ওনার (এরশাদের) পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি, উনি নিজে কখনও মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেননি।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহাজোটগতভাবে এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। দেশের মোট ২২০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থী ছিলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপির একজন হেভিওয়েট প্রার্থী কে পরাজিত করে উনি জয়লাভ করেছিলেন। আমরা মনে করি, জোটগতভাবে হোক আর এককভাবে হোক আমরা সেখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।
এর আগে ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন ফয়সল চিশতী। পরে ঢাকা-১১ আসনে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
এরশাদ সুস্থ, সিঙ্গাপুর নেয়ার দরকার নেই : হাওলাদার
এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। তিনি নিয়মিত চিকিৎসায় সিএমএইচে (ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) আছেন। দু-একদিনের মধ্যেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাসায় ফিরবেন।
বুধবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে এক অনির্ধারিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান রুহুল আমিন হাওলাদার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দীর্ঘদিন ধরেই সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা নেন। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় তার সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা নেয়ার দরকার নেই। তিনি সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল হীন উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। চক্রটি কিছু মানুষকে ভাড়া করে এনে জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। ’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি বড় দল, সবাইকে মনোনয়ন দেয়া সম্ভব না। আবার মহাজোটের কথা বিবেচনায় রেখেও ছাড় দিতে হচ্ছে। তাই অনেকেই মনোনয়ন না পেয়ে, ক্ষোভে অসত্য এবং বানোয়াট অভিযোগ তুলছেন।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, যাদের মানুষের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা আছে, নির্বাচনের সামর্থ্য আছে এবং জয়ী হবার সম্ভাবনা আছে তাদেরই জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ২২০ জনকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মহাজোটের বিষয়টি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়েছে জানিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, মহাজোটে কোনো বিভ্রান্তি নেই। জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নেবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় মহাজোটের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে মহাজোটের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা বিভ্রান্তিমূলক বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন