এলিয়েনদের বার্তার অপেক্ষায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা!
বিভিন্ন মহলে ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন উঠছে, এলিয়েনদের কী আদৌ অস্তিত্ব রয়েছে? সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সৌরমণ্ডলের খুব কাছে অবস্থিত রয়েছে একটি নক্ষত্রমণ্ডল। যে নক্ষত্রমণ্ডলের মধ্যকার একটি নক্ষত্র হল GJ 273।
যেটি সৌরমণ্ডলের থেকে মাত্র ১২আলোকবর্ষ দূরে। এই নক্ষত্রমণ্ডলেই রেডিও সিগন্যাল পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যদি সেই নক্ষত্রমণ্ডলে এলিয়ান থাকে, তাহলে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে সেখান থেকে প্রতিবার্তা আসবেই। কারণ ওই নক্ষত্রতে জল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল৷ তাই প্রাণের সঞ্চার হওয়ায় খুব একটা আশ্চর্যজনক নয়৷
মেসেজিং এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন্টারন্যাশানাল’র(METI) প্রেসেডেন্ট ডগলাস ভাকোচ জানিয়েছেন, তারা আশাবাদী। ওই নক্ষত্রমণ্ডল থেকে একটা প্রতিবার্তা আসবেই। নরওয়ে থেকে এই রেডিও সিগনালটি পাঠানো হয়েছে। একটি অ্যান্টেনা মারফত। গত অক্টোবর মাসে এই সিগনালটি পাঠানো হয়েছিল। এই সিগনালটি পাঠাতে সময় লেগেছিল প্রায় আটঘন্টা।
তিনদিনের ব্যবধানে পাঠানো হয়েছিল এই মেসেজটি।
এদিকে, পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এলিয়েনদের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিশেষ করে মানুষের চেয়ে প্রযুক্তিতে অগ্রসর কোনো এলিয়েন সভ্যতায় পা রাখলে তা মানুষের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। স্টিফেন হকিংস ফেবারিট প্লেসেস শিরোনামের নতুন একটি অনলাইন চলচ্চিত্রে হকিং এই হুঁশিয়ারি দেন। সেখানে হকিং বলেন, শ্বেতাঙ্গ ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকার মাটিতে পা রাখার পর আদিবাসী কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে তাঁর যে অপ্রত্যাশিত প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল, মানুষের সঙ্গে এলিয়েনদের প্রথম যোগাযোগের পর সে রকম কিছু ঘটতে পারে।
হকিং আরো বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি আগের চেয়ে আরো বেশি নিশ্চিত যে, মহাবিশ্বে কেবল আমরাই থাকি না। কোনো সভ্যতা আমাদের চেয়ে লাখ কোটি বছর এগোনো হতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন