এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নারী পুলিশ কর্মকর্তার
একজন পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলার আর্জি জানিয়েছেন তারই এক নারী সহকর্মী। যার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেন। আর মামলা নেওয়ার আবেদন করেছেন নারী পুলিশ পরিদর্শক।
ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তবে মামলা গ্রহণ বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ দেননি।
মামলায় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, দুই বছর আগে তিনি সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তখন সুদানে কর্মরত ছিলেন এসপি মোক্তার। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর এসপি মোক্তার হোসেন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুদান ও বাংলাদেশে তাকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু মিশনের বিভিন্ন বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছিল, সেজন্য মোক্তার হোসেন ‘সহযোগিতা নেওয়ার নাম করে’ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং এক পর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাতে তার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন বলে বাদীর ভাষ্য।
আর্জিতে তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে তার বাসায় তাকে ‘ধর্ষণ করেন’ তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন। সেই ঘটনার একটি বিবরণও মামলার আবেদনে তুলে ধরেছেন বাদী। তিনি বলেছেন, ওই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ‘হুমকি দিয়ে’ সেদিন চলে যান মোক্তার হোসেন। পরে ২২ ডিসেম্বর আবারও ওই বাসায় গিয়ে প্রথমে ‘ভুল হয়েছে; বলে ক্ষমা চান এবং তারপরই আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন।
আর্জিতে বলা হয়েছে, বাদীকে ‘মুখে মুখে কলেমা পড়ে বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়েছিলেন আসামি। পরে ছুটিতে দেশে ফিরে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে’ ঢাকার উত্তরার একটি হোটেলে নিয়ে তাকে আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন।
পরে ওই বছরের ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন সুদানের খার্তুমের একটি হোটেলে এবং ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর ঢাকার উত্তরার ওই হোটেলে ৩০৬ নম্বর কক্ষে আবারো তাকে ‘ধর্ষণ’ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।
তিনি আর্জিতে লিখেছেন, দেশে ফেরার পর তিনি বিয়ে নিবন্ধনের তাগিদ দিলে আসামি ‘তালবাহানা’ শুরু করেন। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিলে বাদী রাজারবাগে আসামির বাসায় উপস্থিত হয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি ও কাবিন নামা সম্পন্ন করতে বললে আসামি তাতে ‘অস্বীকৃতি’ জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন