‘ঐক্যফ্রন্টের অবস্থা দেখে হাসিও পায়, আবার করুণাও হয়’
ঐক্যফ্রন্টের অবস্থা দেখে আমার হাসিও পায়, আবার করুণাও হয়। তারা বার বার বলে আসছিলেন বৃহত্তর ঐক্য-জাতীয় ঐক্য, এবং ফ্রন্টের নাম ঐক্যফ্রন্ট। এখন ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য নেই। ঐক্য ধরে রাখার জন্য নাকি তারা আজ বৈঠক ডেকেছে। অর্থাৎ তাদের মধ্যেই ঐক্য নেই।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা ঐক্যফেন্ট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যারা নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে পারে না, নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের আন্দোলনের ঘোষণা, সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য করার ঘোষণা এগুলো সবই হাস্যকর। তাদের মধ্যে যে ঐক্য নেই আজকের বৈঠকের মাধ্যমে সেটি আরও স্পষ্ট হলো।
শপথ নিয়েই বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সংসদকে অবৈধ বলেছেন- সেই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা নিজেকে নিজে অবৈধ বলেছেন। তিনি শপথ নিয়েই বললেন এই সংসদ অবৈধ। তার মানে সংসদ সদস্য হিসেবে তিনিও অবৈধ। তাদের বক্তব্য সব সময় দ্বৈততা। প্রথমে বলেছে, কোনো অবস্থায় তারা সংসদ সদস্য হিসাবে শপথগ্রহণ করবেন না। পরে তারা শপথগ্রহণ করলেন, এমনকি নারী সংসদ সদস্যের ভারটাও নিলেন। তাদের কথা ও কাজে সব সময় বৈপরীত্ব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শিষ্টাচার বহির্ভূত- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, শিষ্টাচার আমাদের বিএনপির কাছে শিখতে হবে না। মির্জা ফখরুলকে বলব, তার নেত্রীকে শিষ্টাচার শেখানোর জন্য। দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে তার নেত্রী খালেদা জিয়ার দুয়ারে পনের-বিশ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু গেট খোলা হয়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, এবং টেলিফোন করেছেন। টেললিফোনে খালেদা জিয়া যেই ভাষায় কথা বলেছেন সেটি সমস্ত শিষ্টাচারবহির্ভূত ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন