ওজন বাড়ার ভয় কি লেগেই থাকে?
অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা। এটা এমন একটি অবস্থা, যে ক্ষেত্রে রোগী নিজের ইচ্ছায় অভুক্ত থাকে এবং এর জন্য তার ওজন মারাত্মকভাবে কমে যায়। যৌবনে পা রাখছে এমন ব্যক্তি, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটতে দেখা যায়।
মূলত চিকন হওয়ার প্রবণতা থেকে বা স্লিম ফিগার লাভের আশায় খাদ্য গ্রহণের প্রতি অনীহা বা ভীতি জন্ম নেয়। কিছু মেয়ের মোটা হওয়ার ইতিহাস থাকে। তবে তার স্থূলতা নিয়ে অন্যদের পরিহাসের কারণে সে খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেয় এবং খাবারের প্রতি তার অনীহা তৈরি হয়। অনেকে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করে। খাওয়ার পরে গোপনে মুখে আঙুল দিয়ে বমি করে কিংবা ল্যাক্সেপেভ বা জোল্যাপ ব্যবহার করে ওজন কমানোর চেষ্টা করে।
এসব রোগীর শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। রক্তচাপ কমে যায়, নাড়ির গতি কমে যায় এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে ত্বক নীলাভ দেখা যায়।
যেসব লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় করা হয় :
- সম্পূর্ণ শারীরিক ওজনের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ ওজন কম থাকে। অর্থাৎ বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী রোগীর কাঙ্ক্ষিত ওজনের ২৫ শতাংশ ওজন কম থাকে।
- উচ্চ ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার পরিহার করে।
- ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকার পরও নিজেদের শরীরের মেদ পরীক্ষা করে দেখে। অর্থাৎ সর্বদা ওজন বাড়ার ভয় লেগেই থাকে।
- কমপক্ষে তিন মাস ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে।
চিকিৎসা ব্যবস্থা
প্রথম লক্ষ্যই থাকবে রোগীর ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরিয়ে আনা। আর এ জন্য রোগীর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে রোগীর ওজন বাড়ানোর ব্যাপারে। এ ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। প্রয়োজনে রোগীর আবহাওয়া ও পরিবেশ পরিবর্তন করতে হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন