ওবায়দুল কাদেরকে ঠাকুরগাঁওয়ে আমন্ত্রণ জানালেন মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রায় বলতেন ‘আমরা পালাবো না’। আবার আমার ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতেও আসতে চেয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় পালিয়ে আছে? এখন আমি ঠাকুরগাঁওয়ে। আমি আপনাকে (ওবায়দুল কাদের) আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকলেরই গণতান্ত্রিকভাবে কথা বলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালে জনগণের মুখ চেপে ধরেছিল। দেশটাকে তারা লুটপাট করেছে। কেউ কথা বললে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। ইতোমধ্যে আমাদের দলের প্রায় ৭শ নেতাকর্মীকে গুম করেছে আওয়ামী লীগ। গোলাম আযমের ছেলেকে গুম করে আয়না ঘরে আট ধরে আটক করে রেখেছিলো। আটটি বছর এক ঘরে বহু কষ্টে জীবনযাপন করেছে সে। তার অপরাধ সে গোলাম আযমের ছেলে। শেখ মুজিবরের কন্যা এত নিষ্ঠুর নির্মম হয় কীভাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে রুহিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী আমাদের এটা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। আবার তারাই বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা করেছে। এই হলো আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক রাতেই ১৪টি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। আওয়ামী লীগ নিজেরাই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করে। মন্দির ভাঙচুর করে। তাদের সম্পদ লুট করে সেটা বিএনপির উপর চালিয়ে দেয়। জনগণ এখন সবই বুঝে। কারা হামলা চালিয়েছে মন্দিরে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে বসে হিন্দু ভাইদের ঢাল বানিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যখনি তারা হারতে থাকবে, জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, নির্বাচনে হেরে যাবে, আন্দোলনে হেরে যাবে তখনই তারা বলবে যে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। অথচ শত শত বছর ধরে এই বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মিলে এক সাথে বসবাস করে আসছে। আমরা একে অপরের বাড়িতে বিয়ে, পৌষ পার্বনেসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাই। তারা যত ষড়যন্ত্রই করুক, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি মো: শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবদল সভাপতি চৌধুরী মহেবুল্লাহ আবু নুর, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: কায়েস, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মো: সোহেল রানা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল এর আগে সদরের গড়েয়া ইউনিয়নের ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন