ওসির নেতৃত্বে রাতভর গণধর্ষণ, তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
খুলনা রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভেতরে এক নারীকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওসি ওসমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার এক নারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর।
মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, খুলনা রেলওয়ে পুলিশের পাঁচ সদস্যদের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি পুলিশ সদর দফতরের নজরে এসেছে। অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিন সদস্যের তদস্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন এসপি পদমর্যাদার একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগ বলা হয়েছে, ২ আগস্ট সন্ধ্যায় বেনাপোল থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেনের এক কামরা থেকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ এক নারীকে আটক করেন রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক লতিকা বিশ্বাস। রাতেই ওই নারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। ওই নারীকে রাতে থানায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। রাতে থানার ভেতরেই ওই নারীকে ধর্ষণ করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠান। এরপর একে একে পুলিশের আরও চার সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন।
এদিকে সোমবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান মো. শফিউজ্জামান দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, ওই নারীর শরীরে কোনো ক্ষতস্থানের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু অনেক সময় ক্ষত পাওয়া না গেলেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে। সংগৃহীত আলামত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন