কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে। এমন পরিস্থিতির কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হলেও সৈকত ছেড়ে যায়নি পর্যটক বা স্থানীয়রা। সংকেতের মধ্যেও লোকজনের ভিড় দেখা গেছে। তবে লাইফগার্ড ও সৈকতকর্মীরা পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন, মাইকিংও করছেন। তবে নির্দেশনা না মেনে অনেকে সমুদ্রে নেমে পড়ছেন।
সৈয়দ মুরাদ ইসলাম জানান, বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল। এ ছাড়া মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত মানতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টা কক্সবাজার উপকূলে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।’
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রায় ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, শুকনা খাবারসহ নানা প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তুত করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন