কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিয়ের আসরে বর-বউ পক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিয়ের আসরে বর ও বউ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় বেলাল (৪০) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার রাতে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এপিবিএন পুলিশ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কনের চাচাতো ভাইসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন— বরের বাবা মো. ইউনুস (৪৫), বরের চাচা মো. আইয়ুব (৩৫), প্রতিবেশী শিশু মো. উমর (৯), মো. আইয়ুব (২৭), সিরাজুল ইসলাম (৩৫), কনের বাবা আব্দুর রহমান (৫২), মামা হারেসুর রহমান (২০) এবং আনোয়ার সাদেক (২১)।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান।
তিনি বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে বালুখালী পানবাজার পুলিশ ক্যাম্প-৯-এর ব্লক সি/১৯-এ অবস্থিত শেডের সামনে বিয়ে কেন্দ্র করে কনে খালেদা বিবির (১৬) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বর মো. ইদ্রিসের পরিবারের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহত বরের চাচা মোহাম্মদ বেলালকে এপিবিএন পুলিশ উদ্ধার করে তার্কিশ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে মো. ইউনুছ, মো. উমর, মো. আইয়ুব ও মো. আব্দুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, বর মো. ইদ্রিসের সঙ্গে কনে খালেদা বিবির প্রেমের সম্পর্ক ছিল গত চার বছর ধরে। ঘটনার চার দিন আগে খালেদা ইদ্রিসের বাসায় চলে গেলে বরের পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তবে এ বিয়ে মেনে নেয়নি কনে পক্ষ।
শনিবার বরের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে কনে পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বর পক্ষের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত বেলালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উখিয়া থানার মাধ্যমে কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আটকদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন