‘কত সাপ পায়ে জড়িয়ে ধরে, ঝাড়া দিয়ে ফেলে দেই’

সম্প্রতি ভারতের ৬ জন নারী অফিসার পালতোলা জাহাজে বিশ্বভ্রমণ করেছেন। গোয়া থেকে যাত্রা শুরু করে গোয়ায় ফিরে আসার পর তাদের প্রচুর সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

ওই ৬ নারী অফিসারকে নিয়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারের পর গ্রামে লড়াকু নারীদের বিরত্ব তুলে ধরেছেন লেখিকা ও অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার।

তিনি বলেন, একবার আমি এবং অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একটা যাত্রাপালায় অভিনয় করেছিলাম। সারা পশ্চিম বাংলায় এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখানে আমরা শো করিনি। সেবার আমরা দক্ষিণ-চব্বিশ পরগণায় প্রচুর শো করি। ওই অঞ্চলে শো থাকলে অনেক আগে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়। কারণ সড়কপথে যাওয়ার পর খানিকটা জলপথে যেতে হয়।

ধরুন নামখানা ৮নং ঘাট পর্যন্ত গাড়ি গেল বা কাকদ্বীপ পর্যন্ত গাড়ি গেল বা ধরুন এই রকম আরও কিছু পয়েন্ট পর্যন্ত গাড়ি যায় তারপর বড় বড় সব নদী। তখন ভটভটি চেপে যেখানে যেখানে শো আছে সেখানে যেতে হয়।

শ্রীলা জানান, এ রকমই একটা শোতে গেছি, তখন ৩টা বাজে। আমাদের একটি বাড়িতে বসতে দিয়েছে কমিটির কর্মকর্তারা। আমাদের দেখেই বাড়ির মেয়ে বউরা কেউ মুড়ি মাখতে বসল, কেউ চা বসিয়ে দিল।

একজন তো জাল নিয়ে ছুটল নদীতে মাছ ধরতে। কিছুক্ষণ পরে সে বেশকিছু ছোট মাছ নিয়ে ফিরল। তৎক্ষণাৎ সেই মাছ কেটে ভাজা করে মুড়ির সঙ্গে আমাদের পরিবেশন করল।

আমি বউটিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম, কতটা পানিতে নামলে?

ও বলল , হাঁটুপানি, তবে এত পাক যে কোমর পর্যন্ত ডুবে যায়!

আমি বললাম, তোমার সাপের ভয় নেই?

ও বলল, কত সাপ তো পায়ে জড়িয়ে ধরে; ঝাড়া দিয়ে ফেলে দেই।

বললাম, এত সাহস তোমার?