কন্যা সন্তানের বাবা হলো ৫ম শ্রেণির ছাত্র
বাগেরহাট : কল্পনা করতে কষ্ট হলেও এটাই সত্য, মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র হয়ে গেলেন এক কন্যা সন্তানের বাবা। তাও আবার বিয়ের দুদিনের মাথাতেই বাবা হয়েছেন ওই শিশু ছাত্র। বিস্ময়কর এ ঘটনা ঘটেছে ২৫ মে মধ্যরাতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উমাজুড়ি গ্রামে।
নবজাতকের বাবার নাম হাসিব মাল। তার বয়স চলছে এখন ১২ বছর। সে উমাজুড়ি গ্রামের আব্দুল হাকিম মালের ছেলে ও উপজেলার খালিশাখালী ফাজিল মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তার স্ত্রীর নাম সোনিয়া আকতার (১৮)। তিনি একই গ্রামের আসলাম মালের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, হাসিব মালের বয়স কাগজে কলমে ১২ হলেও বাস্তবে একটু বেশিই। তরুণী সোনিয়া আকতারের সঙ্গে অনেকদিন আগে থেকেই তার সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে সোনিয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চুর নির্দেশে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। কাজী মো. আলতাফ হোসেনকে বিয়ে পড়ানোর জন্য গেল ২৫ মে মধ্যরাতে ডাকা হয়। কাজী ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে দুজনের বিয়ে পড়িয়ে দেন।
চেয়ারম্যান বাচ্চু জানান, ‘ছেলে ও মেয়ে দুজনই খুবই গরীব পরিবারের। তারা একে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাই তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে বিয়ের দুদিনের মাথায় কন্যা সন্তানের বাবা হওয়া মাদরাসাছাত্র হাসিব মালের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে অন্তঃসত্ত্বা কনেকে তার ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। সে প্রশ্ন তুলে বলেছে, সোনিয়ার গর্ভের সন্তানের দায় আমি কেন নেব? আমিতো লেখাপড়া করছি। ঘটনার পর থেকে শিশুছাত্র হাসিব মাল পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন