কবিতা ও গবেষণায় পুরস্কার পেলেন কবি মাহফুজুর রহমান আখন্দ

কবিতা ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন বিশিষ্ট কবি ও গবেষক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে একাত্তর অনলাইন একটিভিটিজ ফোরাম কর্তৃক এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সংগঠনের সভাপতি লেখক-শিল্পী তাসনিম আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় সাংসদ ও কবি কাজী রোজী, বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আসলাম সানী, কবি হাসনাইন সাজ্জাদ, কবি আবু তাহের বেলাল, গল্পকার গুলশান আরা রুবী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, লব্ধপ্রতিষ্ঠ ছড়াকার, কবি, গবেষক, গীতিকার-সুরকার, সাহিত্য সমালোচক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক ড. আখন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর। ১৯৭২ সালের ২৮ ডিসেম্বরে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতার নাম মোজাফফর রহমান আখন্দ এবং মাতার নাম মর্জিনা বেগম। তিনি ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্স্টক্লাশ ফার্স্ট হয়ে এম এ করেছেন, অতঃপর ২০০০ সালে এম ফিল এবং ২০০৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রীও অর্জন করেন। তার বিশটির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং দুই শতাধিক সাধারণ প্রবন্ধ-নিবন্ধ বিভিন্ন গবেষণা জার্নাল, জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক-সাপ্তাহিক পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন ম্যাগাজিনসহ সাহিত্যের ছোট কাগজে ছাপা হয়েছে।

তাঁর উল্লেখযোগ্য বিশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ছড়াগ্রন্থ ধনচে ফুলের নাও, মামদো ভূতের ছাও, স্বপ্নফুলে আগুন, জ্বীন পরী আর ভূতোং, ছড়ামাইট, পদ্মাপাড়ের ছড়া, স্বপ্ন দেখি মানুষ হবার, অনুকাব্য- তোমার চোখে হরিণমায়া, লিমেরিক- গুমর হলো ফাঁস, শিশুতোষ গল্প- জ্বীনের বাড়ি ভূতের হাড়ি, জলজ রাজার দেশে, গানের বই- হৃদয় বাঁশির সুর, গবেষণাগ্রন্থ- রোহিঙ্গা সমস্যা: বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি, আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস, সমকালীন বিশ্বে মুসলিম সংখ্যালঘু, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের ইতিহাস, মতিউর রহমান মল্লিক: জীবন ও সাহিত্য, হিস্টরি অব ইসলাম: প্রফেট মুহাম্মদ স. এন্ড খুলাফায়ি রাশিদীন প্রভৃতি। তার সম্পাদিত শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ছোটকাগজ ‘মোহনা’ এবং ‘শব্দকলা’ ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি বাংলা একাডেমী, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি, বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমি; বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ ও পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।