কমলগঞ্জে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার : হত্যা না আত্মহত্যা?
আবদুল হাই ইদ্রিছী: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শাহিনা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ শাহিনা উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিক্রম কলস গ্রামের সাজিম মিয়ার স্ত্রী। নিহতের পরিবারের দাবি গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী সাজিম মিয়া ও তার পরিবার। নিহত শাহিনা কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শাহিনার বাবা ইব্রাহিম মিয়া জানান, শনিবার সকালে আমার মেয়ের স্বামী (জামাতা) সাজিম মিয়া ফোনে জানায় শাহিনা নাকি হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে গেছে, তাড়াতাড়ি আসার জন্য। আমরা দ্রুত এসে দেখি আমার মেয়ে মারা গেছে তার গলায় দাগ রয়েছে। তিনি বলেন, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে ওর স্বামী তাকে নির্যাতন করতো। অনেক সময় আমার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখি স্বামীর ঘরে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এরপর ইউপি সদস্য সোহেল আহমদসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়।আজ আমার মেয়েটিকে তারা মেরে ফেললো। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
এদিকে নিহত শাহিনার স্বামী মো. সাজিম মিয়া জানান, ‘রাতে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে সকালে উঠে দেখি সে ঘরে ফাঁস দিয়েছে। তারপর ফাসঁলাগা অবস্থায় আমি নামিয়ে ফেলি। তিনি বলেন, অনেকে বলছে আমি হত্যা করেছি,কিন্তু আমি আমার স্ত্রীকে মারিনি।’
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, ‘আমরা হত্যার ঘটনা শুনার পর ঘটনাস্থলে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা তদন্তে বেড়িয়ে আসবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন