কমলগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় দিনমজুরকে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ মামলায় এক নিরিহ দিনমজুর পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত ২৮ জুন কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের রুপষপুর গ্রামের মো: আব্দুস শহীদের ছেলে সাজিদ মিয়া তার জমির ধানের চারার উপরে প্রতিবেশী আব্দুল গফফারের মেয়ে রুমা বেগমের গাছের ডাল ভাঙা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। অনাকাঙ্খিত এই ঘটনা নিস্পত্তির জন্য সাজিদ মিয়া ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ আহমদ তরফদারের মাধ্যমে সমাধানের অনেক চেষ্টা করলেও রুমা বেগম এতে রাজি না হয়ে সাজিদ মিয়াকে দেখিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিয়ে গত ১০ জুলাই মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাজিদ মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন (নারী ও শিশু পি: মামলা নং ৪০/২০২৪ইং)। পরর্তীতে ১০৭ ধারায় অন্য আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন সাজিদ মিয়া তাঁর ধানের চারার উপর আসা রুমা বেগমের একটি গাছের ডাল কাটার কারণে সাজিদ মিয়ার উপর ক্ষেপে গিয়ে রুমা বেগম তাকে আক্রমন করলে সাজিদ মিয়া আত্মরক্ষা করে চলে যান। কিন্তু রুমা বেগম স্থানীয় একটি মহলের ইন্ধনে সাজিদ মিয়াকে ঘায়েল করার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। সাজিদ মিয়া খুবই নিরিহ একজন দিনমজুর মানুষ। তিনি বিষয়টি নিস্পত্তি জন্য অনেক চেষ্টা করলেও রুমা বেগম ঘটনাটি ভিন্নভাবে গড়িয়ে দিয়েছে।
মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রুমা বেগম এর দায়ের করা মামলার দতন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় কমলগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয় কর্মকর্তা মোছা: হোসনে আরা তালুকদারকে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মামলার এজহারের সাথে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়নি। তবে তাদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হয়েছে। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

দিনমজুর সাজিদ মিয়া বলেন, ঘটনার দিনের পূর্ব থেকেই স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মুরব্বিরা বিষয়টি অবগত। একাধিকবার বলার পরেও গাছের ডাল রুমা বেগম কাটেননি। বরং আমাকে আরও হুমকি দেন। ঘটনার দিন জমিতে কাজ করতে গেলে রুমা বেগম ও তার মা আমার উপর অতর্কিত হামলা করেন। তখন আত্মরক্ষার্থে আমিও তাদের ধাক্কা মারি।

মামলার বাদী রুমা বেগম বলেন, এলাকার অনেক টাকা খেয়ে এখন সাজিদ মিয়া’র পক্ষে কথা বলতেছে। মহিলা বিষয় কর্মকর্তা তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি টাকা খেয়ে সাজিদ মিয়ার পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছেন। রুমা বেগম বলেন, ঘটনা সত্য। আমার স্বাক্ষী রয়েছে।