করোনার কারণে পারিবারিক সহিংসতা, সামাজিক অবক্ষয় বেড়েছে: ওবায়দুল কাদের
করোনার কারণে পারিবারিক সহিংসতা, সামাজিক অবক্ষয় বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা হয়।
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড় দেননি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো আপস করা হয়নি। করোনার কারণে পারিবারিক সহিংসতা, সামাজিক অবক্ষয় বেড়েছে।’
আগামী মাস থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। আগামী মাস থেকে দলীয় কর্মকাণ্ড পূর্ণ উদ্যমে শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।’
মন্ত্রী জানান, আগামী ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বিকেল সাড়ে ৩টায় স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত আছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাক তর্জন-গর্জনই সার।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির পুনর্নির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। নির্বাচন এলেই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করতে তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। তারা সবসময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়।
বাজারের সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজারে সিন্ডিকেট আছে, কিন্তু সিন্ডিকেট মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যেকোনো গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে সরকার। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকেরা যাতে অপপ্রচারের শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন