করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বন্ধই থাকছে বাস-ট্রেন-লঞ্চ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারঘোষিত চলমান বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে রোববার (১৬ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন ব্যবস্থা। জেলায় জেলায় বাস চললেও বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহন সেবা। এছাড়াও অন্যান্য পরিবহন সেবার মধ্যে রেল ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাতদিন অর্থাৎ ১৭ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে বন্ধই থাকছে বাস-ট্রেন-লঞ্চ চলাচল।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার প্রথম দফায় বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছিল। এরপর সব লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তারপর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে দেশে।

রেল যোগাযোগের মতো লকডাউনের কারণে গত ১৪ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন সেবা। তবে এর ২২ দিন পর ঢাকার রাস্তায় নামে গণপরিবহন। টানা তৃতীয় দফা বিধিনিষেধ (লকডাউন) শেষে ৬ মে ভোর থেকে অর্ধেক যাত্রী এবং বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচল শুরু করে। তবে গণপরিবহন খুললেও আন্তঃজেলা বাস এখনও খুলে দেয়নি সরকার।

গত ৫ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শুধুমাত্র জেলার গাড়ি জেলাতে চলাচল করতে পারবে। আন্তঃজেলা বাসের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেন ও নৌযান চলাচল।

সেই নিষেধাজ্ঞা রোববার (১৬ মে) বহাল থাকলেও তার মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিক দূরপাল্লার পরিবহন খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

বাস-ট্রেনের মতো বন্ধ রয়েছে নৌচলাচল। গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানিয়েছিলেন লকডাউন দেয়া হলে ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ) চালাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেছিলেন, আমরা যাত্রীবাহী নৌযানগুলো সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে বন্ধ করে দিচ্ছি। যতদিন লকডাউন চলবে, ততদিন বন্ধ থাকবে। তবে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

তারপর থেকে সরকারঘোষিত লকডাউন কয়েকদফা বাড়ানো হয়। বিধিনিষেধ বাড়ানো প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সেই থেকে বন্ধ রয়েছে নৌযান চলাচল পরিষেবা।