করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা স্থগিত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা ২৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১১ জুন) গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদ্দুজ্জামান।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ১৯ জুন থেকে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তিনদিনে তিনটি বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল।
জানতে চাইলে গুচ্ছভুক্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ স্থগিত করা হয়েছে। আপাতত পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘সেজন্য আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এখন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ২৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ জানানো হবে।’
জানা গেছে, এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ১৯ জুন মানবিক বিভাগের, ২৬ জুন বাণিজ্যের ও আগামী ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো তা স্থগিত করা হয়েছে।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
সেগুলো হলো-
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন