করোনা সেবায় আবারও উন্মুক্ত ‘সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল’
চট্টগ্রাম নগরীতে এবারো কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় পুরোদমে চালু হয়েছে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল। নগরের পাহাড়তলীর সাগরিকা রোডস্থ (বনিক পাড়া) প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনে হাসপাতালটির অবস্থান।
শুরতেই এক টাকার আহারের পর সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়ার ব্রত দিয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন কাজটি শুরু করলেও বর্তমানে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখন শুধুমাত্র করোনা রোগীদের এখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
যেখানে হাসপাতালে সংযুক্ত হয়েছে ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ১৮ জন সেবিকা ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক। আরও রয়েছে হাই ফ্লো নেজাল কেনোলা অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও দুটি অ্যাম্বুলেন্স। যুক্ত হয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম। এছাড়াও হাসপাতালটিতে প্রান্তিক জনপদে সেবা দিতে রয়েছে টেলি-মেডিসিন সার্ভিসও।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসের মাঝামাঝিতে মাত্র ৭দিনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছিল স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এ কাজে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
ইতোমধ্যে এ হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গগণ।
ড. অনুপম সেন সে সময় বলেন, ‘বিদ্যানন্দ মানবতার সেবায় অনুকরণীয় দায়িত্ব পালন করছে এবং করোনার সংকট মোকাবেলায় স্থাপিত কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। দরিদ্র মানুষ যেন এই হাসপাতালে বিনামূল্যে সেবা পায় সেজন্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিংটি বিদ্যানন্দকে প্রদান করা হয়েছে।’
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেছিলেন, ‘এ হাসপাতালের পাশে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ থাকবে। সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে এই হাসপাতালের অগ্রযাত্রায়। তিনি নগরবাসীদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানান। পাশপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।’
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা আক্রান্তদের সেবায় এখন উম্মুক্ত ‘সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল’। যে কোন করোনা রোগী পাঠাতে পারেন। নারী ও পুরুষদের জন্য রয়েছে আলাদা ওয়ার্ড। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সকল চিকিৎসা, খাবার-দাবার, ঔষধপত্রসহ সব ধরনের টেস্ট ফ্রী। করোনা আক্রান্ত সাধারণ মানুষ যারা সিট পাচ্ছেন না, তাদের পাঠাতে পারেন এই পাসপাতালে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন