‘কর্মকর্তাদের ই-মেইল ব্যবহারে বিধি-নিষেধ আসছে’
‘ডট বিডি’ ঠিকানাযুক্ত ই-মেইল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে ‘সরকারি ই-মেইল নীতিমালা-২০১৮’ এর খসড়া করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য সোমবার (৯ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উঠছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এই নীতিমালাটি অনুমোদন পেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ই-মেইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধের মুখে পড়বেন। দাফতরিক কাজে জি-মেইল, ইয়াহু, আউটলুকসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন না তারা।
সরকারি কাজেন গোপনীয়তা রক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই নীতিমালা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যেকের জন্যই মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থার নামসহ ‘ডট বিডি’ ডোমেইনে একটি ই-মেইল আইডি তৈরি করা হবে। এটি দিয়েই সরকারি কাজে মেইল আদান-প্রদান করতে হবে। এ আইডি শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহার করা যাবে। ব্যক্তিগত বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে না। ই-মেইল সেবাটি দেবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
তবে জাতীয় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এই নীতিমালা প্রযোজ্য নয়। তারা ইলেকট্রনিক যোগাযোগের জন্য তাদের কর্তৃপক্ষের নিয়মে ই-মেইল ব্যবহার করবেন।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী দুটি করে ই-মেইল আইডি খুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একটি হবে তার পদবি দিয়ে এবং অন্যটি নাম দিয়ে। তবে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও আইডি দুটি দুই ধরনের কাজে ব্যবহার করতে হবে।
যেসব কর্মকর্তা অবসরে যাবেন বা চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হবে, তারা পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত ওই নামের মেইল সরকারি যোগাযোগে ব্যবহার করতে পারবেন। এক বছর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ওই আইডি ও পাসওয়ার্ড বাজেয়াপ্ত করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে আরও যেসব প্রস্তাব উঠছে
অগ্রহায়ণ মাসের ১ তারিখকে জাতীয় নবান্ন উৎসব ঘোষণাসহ মোট ১৪টি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠতে পারে বলে জানা গেছে। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০১৮ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়া ‘কৃষি বিপণন আইন-২০১৮’ এর খসড়া নীতিগত, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৮’ এর খসড়া নীতিগত, ‘স্ট্যান্ডার্ড ওজন ও পরিমাপ আইন-২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত ও ‘আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশ আইন- ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বৈঠকে উঠছে।
এছাড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত সাতটি প্রতিবেদন মন্ত্রিসভাকে অবহিতকরণের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন