কলাপাড়ায় নিখোঁজ বোতলজাত ভোজ্য সয়াবিন, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ

গত দুমাস ধরেই চলছিল টানপোড়েনের বোতলজাত সয়াবিনের বাজার। এরই মাঝে মজুতকারী ব্যবসায়ীরা কয়েক কার্টুন করে তেল পেলেও ভাগে জোটেনি ছোট দোকানীদের।

ফলে চাহিদানুযায়ী ক্রেতাদের তেল দিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তবে সম্প্রতি রমজানের শুরুতেই বাজার থেকে নিখোঁজ হয়েছে বোতলজাত ভোজ্য সয়াবিন তেল। আর এতে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী সহ সব শ্রেনীর ভোক্তারা। ফলে অনেক ব্যবসায়ীরা বোতলজাত সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে দোকানে তুলেছেন ক্যানোলা, সূর্যমুখি সহ প্রভৃতি তেলের বোতল।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার দোকানীরা বলছেন, শতকরা ৯০ ভাগ দোকানে বোতলজাত ভোজ্য তেলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে সচেতন অনেক মানুষই খোলা সয়াবিনের দিকে ঝুকছেন। তাও কিনতে হচ্ছে ১শ ৯৫ থেকে ২শ টাকা দরে। আবার অনেক চৌকশ ব্যবসায়ীরা সয়াবিন বোতল সংগ্রহ করতে পারলেও তা তাদের বিভিন্ন পন্যের সঙ্গে কিনতে হচ্ছে। আর শুধুমাত্র সয়াবিন সংগ্রহ করার কোন সুযোগ না থাকায় ক্ষুব্ধ মুদি দোকানীরাও।

এদিকে চাহিদানুযায়ী বোতলজাত তেলের ঘাটতি থাকায় দোকানের পর পর দোকান ঘুরছেন ক্রেতারা। এখানেই শেষ নয়, দু-একটি দোকানে ১ লিটারের সয়াবিন বোতল মিললেও বাধ্যতামূলক ভিন্ন সামগ্রীর সাথে কিনতে অনিহা রয়েছে খুচরা কাষ্টমারদের। পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শহীদ ভ্যারাইটিজ স্টোর্সের পরিচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাস যাবৎ সোয়াবিন বোতলের ঘাটতি ছিল। কিন্ত রমজান শুরু হওয়ার পর তেল সঙ্কট বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ বাজারের ব্যববসায়ী মিলন বলেন, কার্টুন চোখে দেখিনা দুই মাস। আর এখন বোতলও নিখোঁজ।

বোতলজাত সয়াবিন কিনতে আসা মাওলানা মো. নাসীর উদ্দিন বলেন, মোটামুটি সব জিনিসের দাম সহনশীল পর্যায়ে আছে। কিন্তু গোটা বাজার ঘুরে তেলের বোতল পেলাম না। রমজানে সয়াবিন একটি বিশেষ উপকরন, কিন্তু না পেয়ে ক্ষুব্ধ তিনি। কলাপাড়া নাগরিক উদ্যোগের আহবায়ক নাসীর তালুকদার বলেন, রমজানে ইফতার সামগ্রীতে তেল প্রধান উপকরন। সেখানে বাজার থেকে তেল নিখোঁজ থাকা স্থানীয় প্রশাসনের গাফলতীর কারণেও হতে পারে।

তিনি বলেন, সিন্ডকেট ভাঙ্গতে না পারলে এটা সরকারের ব্যর্থতা। আমরা কলাপাড়া বাসী সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, রমাজানের শুরু থেকেই সিন্ডিকেট সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না হলে সাধারণের ভোগান্তি কমবে না বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিকার সহ আমাদের বাজার মনিটরিং আরো জোরদার করা হবে।তবে টিসিবির আওতায় এই সঙ্কট কিছুটা কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।