পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছে কলেজ পড়ুয়া এক তরুনী।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলার লালুয়া ইউপির পায়রা পূর্ণবাসন কেন্দ্রে প্রেমিক নাদিম তালুকদারের ঘরের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী। তিনি বরিশাল মুলাদী কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এসময় তিনি ভূয়া সেনাবাহিনীর পাল্লায় পড়ে সব হারিয়েছি এখন মৃত্যু ছাড়া পথ নেই বলে চিৎকার করেন।

পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহযোগীতায় তরুণীকে হেফাজতে নেয় কলাপাড়া থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুকতারা জানান(ছদ্দনাম)মোবাইল ফোনে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত এক সুন্দর তরুন তার সাথে প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর একবছর পরে তাদের মধ্যে প্রেম বিনিময় ঘটে। তবে দুই মাস আগে বিয়ের কথা বলে বরিশাল জেলাখানা মোড়ে একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে শারিরিকি সম্পর্ক করেন নাদিম। পরে একই ভাবে একাধিকবার অন্তরঙ্গমূহুর্ত কাটান দুজন। এই তরুণীর অভিযোগ, শারিরিক সম্পর্কে অ—স্বীকৃতি জানালে একজন হুজুর দিয়ে কলমা পড়েন নাদিম।

তিনি বলেন, ওই সময়ে নাদিম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আইডিকার্ড দেখায় এবং সে বান্দরবান সেনানিবাসে দায়িত্বরত আছেন বলে বিয়ে গোপন রেখেছেন। তবে মধূচন্দ্রিমা কাটানোর পরে জানতে পারি নাদিম পরিচয় গোপন রেখে প্রতারণা করেছে। মূলত শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেই ছদ্দবেশ নিয়েছে এই প্রতারক।

সুকতারা বলেন, সম্প্রতি সময়ে আমার পরিবার প্রেমের বিষয়টি জানার পরে অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করে। কিন্তু নাদিম অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি এবং ভিডিও নেট দুনিয়ায় আপলোড করে আমাকে একটা খারাপ নারীতে পরিনত করেছে। এখন বাড়ি থেকে আমাকে বের করে দিয়েছে। তবে সকালে নাদিমকে বিষয়টি জানালে সে আমাকে তার বাড়ির ঠিকানা দিয়ে আসতে বলে। কিন্তু ওর বাড়িতে আসলে পাঁচ বছর পরে বিয়ে করবে বলে পালিয়ে যায়। এখন তার মৃত্যু ছাড়া পথ নেই বলেও জানান তিনি।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, মূলত নাদিম একজন টিকটকার। তবে সেনাবাহিনীর জাল আইডিকার্ড তৈরি করে চলাফেরা করেন এই প্রতারক। এবিষয়ে জানতে নাদিমের বড় ভাই নাঈম জানান, সেনাবাহিনীর পোশাক আইডিকার্ড কোথায় পেয়েছে তা জানিনা, আর সে কোথায় এখন তাও জানিনা।

কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, গ্রাম পুলিশ তরুণীকে আমাদের থানা হেফাজতে দিয়েছে। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।