কলারোয়ায় ‘একটি বাঁশের সাঁকোয় স্বপ্ন’ হাজারো মানুষের, এগিয়ে এলেন যুবকেরা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি বাঁশের সাঁকোয় স্বপ্ন শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের, সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এলেন কয়েকজন যুবক।

একটি বাঁশের সাঁকোর অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বাঁশের ওই সাঁকোটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় স্কুলগামী অর্ধশত শিশু শিক্ষার্থী পড়েছে চরম বিপাকে। এতে এক কিলোমিটারের পথ ঘুরতে হচ্ছে প্রায় ৬ কিলোমিটার। এমনই অবস্থায় বাঁশের সাঁকোটি সংস্কারে এগিয়ে এলেন কয়েকজন যুবক। তাদের মহতী উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ।

জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড কোটাবাড়ি গ্রাম এবং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড রায়টা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বেত্রাবতী নদী। নদীতে বাঁশের সাঁকোটি কোটাবাড়ি ও রায়টার একমাত্র সংযোগ মাধ্যম। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে ও অর্থায়নে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেন। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। পানির স্রোত ও কচুরিপানার চাপে বর্তমানে ওই সাঁকোটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে। এছাড়াও ওপারের রায়টা সবুজবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে এপারের কোটাবাড়ি গ্রামের প্রায় অর্ধশত ছেলে-মেয়ে। তারাও ওই সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। সেই বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা স্কুলে যেতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ হেলাতলা-কুশোডাঙ্গা হয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে স্কুলে যেতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ ও কিছু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, বেত্রবতী নদীর দুই পাড়ে রায়টা ও কোটাবাড়ি গ্রাম। দূরত্ব সর্বোচ্চ এক কিলোমিটার। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁশের সাঁকোটি তাদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কোটাবাড়ি থেকে রায়টা বাজারে যেতে হলে হেলাতলা ও কুশোডাঙ্গা হয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরত্ব। অপরদিকে কলারোয়া হয়ে রায়টা বাজারে যেতে গেলে দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এছাড়াও রায়টা, ছলিমপুর, মেহমানপুর, ঢেপা, আগুনপুর, আলাইপুর, রাজনগরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ হেলাতলা, ব্রজবাকসা, কুশোডাঙ্গা, কাজিরহাট ও ক্ষেত্রবিশেষে কলারোয়া যাতায়াত করে থাকে। বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যাতায়াতের অনুপযোগী হওয়ায় মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

-এমনই খবর পেয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হেলাতলা ইউনিয়নের যুব নেতা আবু জাফরের নেতৃত্বে স্থানীয় তরুণ সমাজসেবক আল মোয়াজ, ফিরোজ, আলাইপুরের নুরুল ইসলাম খানসহ কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের উদ্যোগে ও অর্থায়নে বাঁশের ওই সাঁকোটি সংস্কারে এগিয়ে এসেছেন।

এতে মহাখুশি স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীরা। সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

আবু জাফর ও আল মোয়াজ জানান, তারা আগামি অল্প দিনের মধ্যেই বাঁশের সাঁকোটি যাতায়াতের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করবেন।
তারা ওই স্থানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।