কলারোয়ায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন হয়েছে ৭ মাস আগে, তবে এখনো শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ!

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মডেল মসজিদ উদ্বোধনের ৭ মাস পেরোলেও এখনো শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় মুসল্লিরা।

২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ৬ষ্ঠ ধাপে এ মসজিদটিসহ দেশের ৫০টি মসজিদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।

জানা গেছে, প্রথম চুক্তিপত্র অনুযায়ী মসজিদ হস্তান্তরের মেয়াদ ১৮ মাসের বেশি সময় শেষ হলেও এখনও মসজিদ চালু হয়নি। এখনও মসজিদের ভবনের কাজ চলছে ধীর গতিতে। ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই হয়েছিল উদ্বোধন। উদ্বোধনের ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেক কাজ বাকি।

অপরদিকে, ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে করছেন মডেল মসজিদের কাজ করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের মে মাসে কলারোয়া উপজেলা ক্যাম্পাসের পুরাতন উপজেলা ভবন এলাকায় ৩৫ শতক জমির ওপর মডেল মসজিদ নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়। কাজ পায় যশোরের মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ। প্রাক্কলিত মূল্য ছিলো ১২ কোটি ৪৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৭৬ টাকা, বরাদ্দ ছিলো ১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ৮৮ হাজার ৫৬০ টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০২৩-এর আগস্ট মাসে।
সেসময় সাতক্ষীরার গণপূর্ত বিভাগ জানায়- কিছু পুরাতন ভবন অপসারণ করতে একটু সময় বেশি লেগেছে। তবে সব প্রতিবন্ধকতার সমাধান করে অচিরেই নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। কিন্তু শেষ হয়নি ভবনের কাজ। তা সত্বেও ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর অনেকটা তড়িঘড়ি করেই করা হয় উদ্বোধন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা ও জানা যায়, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রথম ধাপে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিলো এই মসজিদটি। কিন্তু ৬ষ্ঠ ধাপে ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদের সঙ্গে উদ্বোধন হয় এটির। মসজিদের মূল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের কোন কাজ শেষ হয়নি।
সেখানে পারভেজ নামে এক শ্রমিক আছেন দায়িত্বে। তিনি বলেন, এ কাজের ঠিকাদার থাকেন যশোরে। দায়িতপ্রাপ্ত ম্যানেজারও আসেননি। কখন আসবেন জানি না। নির্মাণ শ্রমিকদের দিয়েই চলছে দেখভালের কাজ।

এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাজ বাকি রেখেই উদ্বোধন করা হয় এ মসজিদের। নির্মাণের কাজে এত সময় লাগা খুবই দুঃখজনক। আরো কত মাস লাগে আল্লাহ ভালো জানেন।

ঠিকাদার আাজিজুর রহমান বলেন, আমার ৫ কোটি টাকার মত বিল বকেয়া আছে। দ্রুত বিলটা পেলে কাজ শেষ করবো। মসজিদের কাজে এজন্য একটু সময় লাগছে। আশা করি আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেবো।

মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন অভিযোগ আছে- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রী গণপূর্ত ভবনের পরীক্ষা করার পর ব্যবহার করা হচ্ছে। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া জেলার ৫টি মসজিদের নির্মাণ কাজ আমার চলছে।